সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: উত্তরকাশীর বিপর্যয়ে সুড়ঙ্গে আটকে বাংলার তিন যুবক। উদ্বেগের মাঝেই অসম থেকে মিলল দুঃসংবাদ। ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ গেল বাংলার যুবকের।
মৃত বছর বত্রিশের সঞ্জয় কুমার মাইতি গঙ্গাসাগরের কোম্পানিছাড় এলাকার বাসিন্দা। মাস ছয়েক আগে ওই এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক অসমের করিমগঞ্জে ওএনজিসির কাজে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গেই গিয়েছিলেন সঞ্জয়। গত বৃহস্পতিবার সঞ্জয়-সহ ৬ জন রাতে তাঁবুতে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় দ্রুতগতিতে আসা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাবুতে ঢুকে পড়ে। গুরুতর জখম হন সঞ্জয়-সহ বাকিরা। তাঁদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা সঞ্জয়কে মৃত বলে জানান।
[আরও পড়ুন: পুলিশের সামনেই যুবক খুনে অভিযুক্তকে মার-ট্যাক্সি ভাঙচুর, চিংড়িহাটায় তুমুল উত্তেজনা]
রাতেই পরিবারের কাছে পৌঁছয় দুঃসংবাদ। পরিবারের লোকজন অসম থেকে দেহ নিতে যান। ময়নাতদন্তের পর রবিবার সন্ধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ গ্রামে ফেরার কথা। বাড়ির একমাত্র উপার্জনকারীর মৃত্যুতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারের অন্যান্যদের। তরতাজা সঞ্জয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তাঁর প্রতিবেশীরা। এদিকে, পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বাংলায় কর্মসংস্থান নেই বলে বাধ্য হয়ে যুবকেরা বাইরে যাচ্ছেন বলেই দাবি বিরোধীদের। পালটা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ সুর চড়িয়েছে শাসকদল।