অর্ণব দাস, বারাকপুর: ভাটপাড়ায় (Bhatpara) তৃণমল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনার মূলচক্রী, একজন শুটার-সহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। খুনের দিন যে বাই ব্যবহার করা হয়েছিল, তা চুরির, জানাল পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম পঙ্কজ সিং ওরফে ইমরান আহমেদ। তার বাড়ি কামারহাটিতে। সম্প্রতি সে জগদ্দলে থাকত। এই পঙ্কজই গোটা ঘটনার পরিকল্পনা করেছিল বলে দাবি পুলিশের। দ্বিতীয় ধৃতের নাম ইফতিকার আলম ওরফে সোনু। তার বাড়ি কলকাতার কাশীপুর এলাকায়। খুনের সময় বাইকের পিছনে বসে ভিকিকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল এই সোনুই। আরেক ধৃতের নাম মহম্মদ জিশান। তার বাড়ি কামারহাটিতে। চলতি বছরের আগস্ট মাসে সে এবং কামারহাটির আরও একজন মিলে দুটি বাইক বেলঘড়িয়া এবং দক্ষিণেশ্বর থানা এলাকা থেকে চুরি করেছিল। এই দুটি বাইকই তৃণমূল কর্মী খুনে ব্যবহার হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘নিজের দেশেই শরণার্থী, ভারতে স্বাধীন’, শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে চিনকে তোপ দলাই লামার]
বাইকে চেপে এসে তিনজন গুলি চালালেও তাদের মধ্যে শুধুমাত্র সোনুকে গ্রেপ্তার করা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইক চালাচ্ছিল জগদ্দলের বাসিন্দা সূর্য সাহা। বাইকের মাঝে বসেছিল অরিন্দম ঘোষ ওরফে বেঙ্গলি। ইমরান বলে আরও একজন ঘটনাস্থলে ছিল, সে বাইকে করে না এলেও ঘটনাস্থলে ছিল। এদের প্রত্যেকের পুরনো ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার এবিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার আলোক রাজরিয়া বলেন, হাওড়ার ডোমজুর থানার সলপে এরা থাকছিল। সেখানেই খুনের পরিকল্পনা হয়। ঘটনার দিন চুরির দুটি বাইকের নম্বর প্লেট চেঞ্জ করে চারজন সলপ থেকে ভাটপাড়ায় এসেছিল।
এর আগে যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তারা এই চারজনকে প্রথমে মেঘনা মিলের কোয়ার্টারে রাখার ব্যবস্থা করে। সেখান থেকে বেরিয়ে খুন করে আবার তারা সলপে চলে যায়। সলপের যেখানে তারা থাকছিল সেখান থেকে বাইকের আসল নম্বর প্লেট উদ্ধার হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান যাচাই করা হচ্ছে। এই খুনের ঘটনার পিছনে আর কারা রয়েছে তাও খতিয়ে করে দেখা হচ্ছে।