বাবুল হক, মালদহ: মালদহ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নামতেই পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত জাকিরের সঙ্গে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের শত্রুতা ছিল গুলিবিদ্ধ বকুল শেখের। আগে বহুবার অশান্তিতে জড়িয়েছিলেন তাঁরা। পরবর্তীতে দিন পনেরো আগে তৃণমূলে যোগ দেয় জাকির। তারপরই এই ঘটনা। কিন্তু কেন? একাধিক মোটিভ বাড়াচ্ছে ধন্দ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক রিকশা চালক-সহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এক তৃণমূল নেতাকে খুন ও অঞ্চল সভাপতিকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তাল মালদহের কালিয়াচক। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, রাজনৈতিক কারণে এই ঘটনা। কিন্তু এর নেপথ্যে উঠে এসেছে পুরনো শত্রুতা, ভাগ বাটোয়ারা সংক্রান্ত অশান্তি। জানা গিয়েছে, এলাকা কার দখলে থাকবে তা নিয়ে বকুলের সঙ্গে জাকির শেখে শত্রুতা কমপক্ষে ১০ বছরের। একাধিকবার তা বিরাট আকারও নিয়েছে। পরবর্তীতে রাজনীতিতে যোগ দেন বকুল। এদিকে এলাকার আরেক তৃণমূল নেতা রফিক শেখের সঙ্গে বকুলের সম্পর্ক বিশেষ ভালো ছিল না। রফিক চেয়েছিলেন কালিয়াচকের অঞ্চল সভাপতির দায়িত্ব পেতে। কিন্তু দল সেই দায়িত্ব দেয় বকুলকে। এরপরই দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন রফিক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন।
সম্প্রতি রফিক দলে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। জাকিরও তৃণমূলে যোগ দেবে বলে ঠিক করে। দিন পনেরো আগে দুজনই তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। সূত্রের খবর, জাকিরকে তৃণমূলে নেওয়া হোক তা চাননি বকুল। কিন্তু তার সিদ্ধান্ত ছাড়াই জাকিরকে তৃণমূলে নেওয়া হয়। তার ১৫ দিনের মাথায় এই ঘটনা। কিন্তু কেন তৃণমূলে যোগ দিয়েই বকুলকে খুনের চেষ্টা? নাকি খুনের প্ল্যান করেই তৃণমূলে যোগ, তা জানার চেষ্টায় পুলিশ। যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে, তাদের জেরা করে কিছু তথ্য মিলতে পারে বলে আশাবাদী পুলিশ।