অর্ণব দাস, বারাকপুর: টিটাগড়ের ফ্রি স্কুলে বোমাবাজির ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রবিবার সকালে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে তাদের বয়ানে বিস্তর গরমিল থাকায় গ্রেপ্তার করে টিটাগড় থানার পুলিশ। ব্যক্তিগত আক্রোশেই এই ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ। এদিকে এই বিস্ফোরণের এনআইএ তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির এই ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল
ধৃতদের নাম, মহম্মদ আরিয়ান, বাবলু, সাদিক এবং রেহান। ধৃতদের মধ্যে একজন আবার স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, ধৃতদের মধ্যে তিনজনই টিটাগড়ের ফ্রি স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই বোমাবাজি। তাদের আজ আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বাড়ি থেকে ১০টি বোমাও উদ্ধার হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলার মুসলিম ভোট কাটুক বাম-কংগ্রেস, লোকসভায় আসন বাড়াতে ব্লুপ্রিন্ট বিজেপির!]
বিশ্বকর্মা পুজোর দিনই টিটাগড়ে (Titagarh) স্কুল চলাকালীন বিস্ফোরণের (Blast) জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। স্কুলবাড়ির ছাদের একাংশ উড়ে যায়। বোমা ফেটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশের তদন্তকারী দল। তদন্তে নেমে বিস্ফোরণের ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই গ্রেপ্তার হল ৪ অভিযুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে পুরনো কোনও অপরাঝের রেকর্ড আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কোথা থেকে বোমা পেয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছেয
স্কুল চলাকালীন এমন একটা ঘটনা ঘটায় স্বভাবতই আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে অভিভাবকরাও ভীত। স্কুলে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এই বিস্ফোরণ ঘটানো বলে দাবি সাংসদের।