সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বেশি উপার্জনের আশায় কেরলে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ কাকদ্বীপের (Kakdwip) একই পরিবারের তিন যুবক। খোঁজ নেই তাঁদের আরও এক সঙ্গীর। প্রায় দেড়মাস ধরে বেপাত্তা তাঁরা। খবর পেয়েই ওই মৎস্যজীবীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা (Manturam Pakhira)। মুখ্যসচিবের (Chief Secretary) মাধ্যমে কেরল প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গণেশনগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘেরির বাসিন্দা শুকদেব দাস, শান্তিরাম দাস ও সুশান্ত দাস। সম্পর্কে তাঁরা ভাই। প্রায় ৪-৫ বছর ধরেই মাছ ধরতে ভিনরাজ্যে যেতেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ভোট দিতে কাকদ্বীপে ফিরেছিলেন শুকদেবরা। ১৯ তারিখ ফের রওনা হন কেরলের উদ্দেশ্যে। শুকদেব, শান্তিরাম ও সুশান্তের সঙ্গে যান হারউড পয়েন্ট উপকূল থানার কালিনগর ত্রিলোকচন্দ্রপুরের বাসিন্দা রাজীব দাস। সুশান্ত দাসের স্ত্রী সুমিতাদেবী জানিয়েছেন, ৫ মে শেষবার তাঁর স্বামী ফোন করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, ট্রলারে সমুদ্রে যাচ্ছেন তাঁরা। এরপর থেকে আর হদিশ মেলেনি ওই চার মৎস্যজীবীর। ফোনে বহুবার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে বইছে ‘ভাঙনে’র হাওয়া! বার্লার দাবির সমর্থনে সুর চড়ালেন ২ বিজেপি বিধায়ক]
জানা গিয়েছে, যে মালিকের ট্রলারে সমুদ্রে গিয়েছিলেন শুকদেবরা তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তিনিও কোনও খবর দিতে পারেননি। বিষয়টি জানার পরই দাস পরিবারে যান কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা। পরিবারের সদস্যদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন তিনি। বিধায়ক জানিয়েছেন, বিডিও ও এসডিও এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি জেলাশাসককে (DM) জানাবেন। জেলাশাসক এবিষয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলবেন। মুখ্যসচিব যোগাযোগ করবেন কেরল প্রশাসনের সঙ্গে। কতদিনে বাড়ি ফিরবেন নিখোঁজ মৎস্যজীবীরা (Fisherman)? অপেক্ষার প্রহর গুনছেন পরিবারের সদস্যরা।