সুব্রত বিশ্বাস: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) পাথর ছোঁড়ার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কারা পাথর ছুঁড়েছে, তা নিয়ে তরজার মাঝে রেল পুলিশ হামলাকারীদের চিহ্নিত করে ফেলল। জানা গিয়েছে, বিহার থেকে পাথর ছুঁড়েছিল ৪ নাবালক। তাদের চিহ্নিত করে অভিভাববকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিহার পুলিশ ও আরপিএফ (RPF) যৌথ অভিযান চালিয়ে ৪ হামলাকারীকে চিহ্নিত করেছে। তাঁরা বিহারের মঙ্গুরগঞ্জের বাসিন্দা। কাটিহার ডিভিশনের তরফে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) ভালভাবে খতিয়ে দেখে তাদের সন্ধান মিলেছে। জানা গিয়েছে, রেল পুলিশ ও বিহার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রেলের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক নিজে ঘটনাস্থলে যান। ওইদিন যারা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছুঁড়েছিল, সেই চারজনেরই বয়স ১৫ বছরের নিচে। তাই জুভেনাইল আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলার মিড ডে মিলের মেনুতে এবার মুরগির মাংস, বরাদ্দ অতিরিক্ত প্রায় ৩৭২ কোটি]
গত ৩ তারিখ এনজেপি থেকে হাওড়াগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস মালদহে ঢোকার আগে সেখানে ঢিল ছোঁড়া হয়। তাতে এসি কামরা C3-র দরজার কাচ ভাঙে। আরও একটি কোচও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু সেই কামরায় কোথা থেকে পাথর ছোঁড়া হয়েছিল, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি বলেই খবর রেল সূত্রে। সেই তদন্ত চলছে। বন্দে ভারতে পাথর ছোঁড়া ইস্যুতে বৃহস্পতিবার ফুঁসে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা নয়, বিহারে মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় সেমি হাইস্পিড ট্রেনে পাথর ছোঁড়া হয়েছিল। এরপরই সরব হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: অসন্তুষ্ট রাজ্যের মতুয়া সম্প্রদায়, চিন্তার ভাঁজ বিজেপির কপালে]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “বাংলাকে বদনামের চেষ্টা বরদাস্ত নয়। এই অপচেষ্টার কড়া নিন্দা করছি। বন্দে ভারতে পাথর ছুঁড়ে বাংলাকে বদনামের চেষ্টা করা হয়েছে। যারা ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন আইনের পথে চলবে”। বিহারবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি আরও বলেন, “বিহারের মানুষের ক্ষোভ থাকতেই পারে। জনগণের ক্ষোভ থাকলে তারা একটা ঘটনা ঘটিয়েও থাকলে তাদের তো অপমান করা যায় না। আমি মনে করি তাদেরও পাওয়ার অধিকার আছে। ক্ষমতায় বিজেপি সরকার না থাকলে কি পাওয়ার অধিকার নেই?”