বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, নদিয়া: গভীর রাতে বাড়িতে ডাকাতি, বাধা দিতে গিয়ে ডাকাতদের হাতে খুন হয়েছিলেন বাড়ির মালিক। ঘটনায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল কৃষ্ণনগর জেলা আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে চারজনের আবার আরও দশ বছরের কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন অতিরিক্ত জেলা জজ মনোজ কুমার শর্মা। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর জেলে থাকতে হবে ওই চারজনকে।
[ জঙ্গল থেকে উদ্ধার স্কুলছাত্রীর মৃতদেহ, পুলিশের উপর চড়াও স্থানীয়রা]
২০০৯ সালের ঘটনা। রাতে যখন পরিবারের সকলে ঘুমোচ্ছিলেন, তখন নদিয়ার চাপড়ার পূর্বপাড়া গ্রামে খাজের আলি শেখের বাড়িতে হানা দেয় ডাকাতদল। খাজের শেখের ছেলে সাদ্দাম আলি পুলিশকে জানিয়েছেন, রাত এগারোটা নাগাদ বাড়িতে ঢোকে দশ থেকে বারো জন ডাকাত। বাড়িতে ঢুকে খাজের আলি শেখের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সোনার গয়না, মোবাইল ও নগদ কুড়ি হাজার টাকা লুঠ করে তারা। খাজের শেখ দা নিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এরপরই ডাকাতদের একজনের পেটে দা দিয়ে আঘাত করেন খাজের। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, উলটে তাঁর পেটে দায়ের কোপ মেরে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। গুরুতর আহত অবস্থায় খাজেরকে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর হাসপাতালে। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেদিন রাতে চাপড়ার পূর্বপাড়া গ্রামে আরও বেশ কয়েকটি বাড়িতেও ডাকাতি হয়। খাজের শেখের ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৯ বছর ডাকাতি ও খুনের মামলার শুনানি চলেছে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে। এদিকে বিচার চলাকালীন কৃষ্ণনগর জেলা আদালত চত্বরে পুলিশের চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল এক অভিযুক্ত। পরে তাকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়।
[স্লিপার রং করার সময় রাজধানী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মৃত্যু কিশোরের]
