দেবব্রত মণ্ডল ও অরূপ বসাক: ফের বাঘের হামলায় প্রাণ গেল এক মৎস্যজীবীর (Fisherman)। নিখিল মণ্ডল নামে বছর পঞ্চাশের ওই মৎস্যজীবী গোসাবা ব্লকের লাহিড়ীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চরঘেরি এলাকার বাসিন্দা। ওই মৎস্যজীবীর কাছে কোনও বৈধ অনুমতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে বনদপ্তর।
নিখিল মণ্ডল দু’জন সঙ্গীকে নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ডিঙি নৌকা করে সুন্দরবনের ঝিলা ৪ নম্বর জঙ্গলের কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন। নদীর খাড়িতে নেমে কাঁকড়া ধরার সময় সুন্দরবনের গভীর জঙ্গল থেকে বাঘ (Royal Bengal Tiger) বেরিয়ে আসে। সুযোগ বুঝে আচমকা নিখিলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে টানতে টানতে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই মুহূর্তে অপর দুই সঙ্গী কাঁকড়া ধরার শিক আর নৌকার বৈঠা নিয়ে বাঘের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সফরের ডিউটি সেরে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পুলিশের গাড়ি, জখম ১০]
বেশ কিছুক্ষণ বাঘে মানুষে লড়াই চলে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে রণে ভঙ্গ দেন দুই সঙ্গী। বাঘ তার শিকার নিয়ে গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়। দুই সঙ্গীসাথী নৌকার বৈঠা বেয়ে দ্রুত গ্রামের ঘাটে ফিরে আসে। তাঁরা ওই মৎস্যজীবীর পরিবারের লোকজনকে দুর্ঘটনার কথা জানায়। শোকে কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই মৎস্যজীবীর পরিবার পরিজন। অন্যদিকে, বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী পরে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলের দুর্ঘটনাস্থলে যান। বাঘের কবল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসা হয় দেহটি। ওই মৎস্যজীবীদের কাছে কোনও বৈধ অনুমতিপত্র ছিল কিনা তা বনদপ্তর খতিয়ে দেখছে।
এদিকে, সুন্দরবনের পাশাপাশি মাল ব্লকের ডামডিম গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার গুডহোপ চা বাগানে চিতাবাঘের আক্রমণে গুরুতর জখম বছর দশেকের বালক। আমন ওরাও গরু নিয়ে চা বাগানের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ এক চিতাবাঘ পাশের ঝোপ থেকে বেরিয়ে তার উপর হামলা করে। আশেপাশের লোকজন চিৎকার করলে চিতাবাঘটি পালিয়ে যায়। দ্রুত ওই বালককে মাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বন্যপ্রাণ শাখার মাল স্কোয়ার্ডের রেঞ্জার দিপেন সুব্বা বলেন, “আমরা খবর পাওয়া মাত্র হাসপাতালে, বনদপ্তরের এক কর্মীকে পাঠিয়েছি। বালকটির চিকিৎসার খরচ বনদপ্তর বহন করবে।”