দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: স্ত্রী কিনেছেন স্মার্টফোন। আর তা নিয়ে যত অশান্তির সূত্রপাত। সন্দেহের বশে ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করল স্বামী। শুক্রবার মধ্যরাতে নরেন্দ্রপুর থানার লস্করপুর পেয়ারাবাগানে এই ঘটনাটি ঘটে। গ্রেপ্তার স্বামী রাজেশ ঝাঁ ও এক দুষ্কৃতী। এখনও পলাতক একজন।
ওই মহিলার দাবি, শুক্রবার রাতে তাঁর স্বামী রোজকার মতো ঘরে ঢোকে। স্ত্রীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে নিজেই দরজায় তালা দেন। দেরি হচ্ছে দেখে গৃহবধূ দেখতে যান। আচমকাই একজন দুষ্কৃতী তাঁর মুখ চেপে ধরে। অপর দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র হাতে তাঁর দিকে তেড়ে আসে। চিৎকার করতে থাকেন গৃহবধূ। তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে দুষ্কৃতীরা। গৃহবধুর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন।
[আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে মহিলা কামরায় যুবতীর শ্লীলতাহানি, ফেসবুক লাইভে চাইলেন সাহায্য]
পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুই দুষ্কৃতী ও তাঁর স্বামী। তবে স্থানীয়রাই একজন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। প্রতিবেশীরা ওই গৃহবধূকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তাঁর গলায় সাতটি সেলাই পড়ে। এরপর নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এক দুষ্কৃতী ও মহিলার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গৃহবধূর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত স্বামী রাজেশ ঝাঁ। কিন্তু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব কিছু মেনে নিতেন তিনি। এমনকি পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলতেও দিত না তার স্বামী। মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারতেন না ওই গৃহবধূ। করোনা আবহে সন্তানের স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। অনলাইন পড়াশোনার জন্য একটি স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার কথা বলেন। স্বামী ফোন কিনে দেয়নি। নিজের জমানো টাকা থেকেই স্মার্টফোন কেনেন গৃহবধূ। কিন্তু স্বামীর কাছ থেকে ফোন লুকিয়ে রাখতেন। স্বামী বাড়ি থেকে বেরনোর পরই ফোন ব্যবহার করতেন। কিন্তু একদিন স্ত্রীকে ফোন ব্যবহার করতে দেখে ফেলেন ওই ব্যক্তি। তারপরই স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করে রাজেশ। তবে এখনও পলাতক আরেক দুষ্কৃতী। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।