রাজা দাস, বালুরঘাট: বন্ধ্যাত্বকরণ করাতে গিয়ে মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর মহকুমার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি গঙ্গারামপুর শহরে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে মৃতার পরিবার ও গ্রামবাসীরা। গঙ্গারামপুর (Gangarampur) থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী আয়ত্তে আনে পরিস্থিতি।
জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম শ্যামলী ওঁরাও (৩০)। গঙ্গারামপুর থানার অন্তর্গত মোস্তাফাপুরের বাসিন্দা ওই মহিলার স্বামী শ্রমিকের কাজের জন্য ভিনরাজ্যে থাকেন। শ্বশুরবাড়িতে দুটি কোলের সন্তানকে নিয়ে থাকতেন শ্যামলী। স্থানীয় আশাকর্মী মাধ্যমে ওই গৃহবধূ শনিবার গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি হন। রাত ৯ টা নাগাদ বন্ধ্যাত্বকরণের অপারেশান জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে রোগীর সম্পর্কে পরিবারের লোকেরা কোনও খোঁজ পাননি বলে দাবি পরিবারের।
[আরও পড়ুন: ‘দ্বন্দ্ব’ মেটাতে অভিষেকের বার্তার পরই রদবদল, বাঁকুড়ায় পদ থেকে সরলেন ৪ অঞ্চল সভাপতি]
রবিবার সকালে হাসপাতালের তরফে পরিবারের লোকদের জানানো হয় শ্যামলীর মৃত্যু হয়েছে। এরপরই ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। চিকিৎসার গাফিলতি অভিযোগ তুলে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা। এরপরই জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ পৌঁছে দীর্ঘ কয়েকঘণ্টা পর অবরোধ তোলে। মৃতার আত্মীয় সুমনা এক্কা, গ্রামবাসী মহরম আলি বলেন, আশাকর্মী ভুলিয়ে ভালিয়ে শ্যামলীকে বন্ধ্যাত্বকরণ করতে নিয়ে গিয়েছিলেন। হাসপাতালে ভরতির পরে বাড়ির লোকেরা সেকথা জানতে পারে। রাত ৯ টায় ঢোকানো হয় অপারেশান থিয়েটারে। ১ টা নাগাদ বের করে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রাতে একবারের জন্য দেখা করতে দেওয়া হয়নি বাড়ির লোকেদের। সকালে গেটের বাইরে থেকে আমাদের জানানো হয় যে শ্যামলী মারা গিয়েছে। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা।
গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতাল সুপার বাবুসোনা সাহা জানান, বিষয়টি দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গড়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।