নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: থানা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা আধিকারিককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিল কয়েকজন মদ্যপ যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার খুব কাছের মতিগঞ্জ এলাকায়। পুলিশ আধিকারিকের উপর নির্বিচারে হামলার ঘটনায় গোটা বনগাঁ শহরজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আক্রান্ত ওই গোয়েন্দা আধিকারিকের অভিযোগে ইতিমধ্যেই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে টানাপোড়েনের জের, আত্মঘাতী যুগল]
বিজয়া দশমীর রাতে ওই গোয়েন্দা আধিকারিক মতিগঞ্জ এলাকায় ইছামতী নদীর উপর রায়ব্রিজে সাদা পোশাকে কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন। ওই সময় অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ কুণ্ডু নামে এক যুবক মদ্যপ অবস্থায় দ্রুত গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিল। কর্তব্যরত ওই গোয়েন্দা আধিকারিককে ধাক্কা মারে সে। দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসা গাড়ির ধাক্কায় ওই আধিকারিক রাস্তার পাশেই ছিটকে পড়েন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ওই গোয়েন্দা আধিকারিকের সহকর্মীরা তার প্রতিবাদ করেন। ওই মদ্যপ যুবকটি ফোন করে সঞ্জয় বিশ্বাস নামে তার এক বন্ধুকে ঘটনাস্থলে ডেকে নেয়। মদ্যপ ওই যুবকের সঙ্গে গোয়েন্দা আধিকারিকদের তর্কাতর্কি শুরু হয়। তারই মধ্যে অভিযুক্ত দুই যুবকের পরিচিত অন্তত কুড়িজন যুবক লাঠি, বাঁশ নিয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগে ওই কর্তব্যরত সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে তারা। প্রাণনাশের হুমকিও দেয় মদ্যপ যুবকেরা। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে পথচলতিরা জড়ো হয়ে যায়। তাঁদের দেখে চম্পট দেয় ওই যুবকেরা। গুরুতর জখম অবস্থায় আহত তিন পুলিশকর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপ্রতিমার মাথা কেটে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা, চাঞ্চল্য কেতুগ্রামে]
আক্রান্ত পুলিশ কর্মীদের অভিযোগে রাতেই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে বনগাঁ থানার পুলিশ। প্রসেনজিৎ মণ্ডল এবং সঞ্জয় বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষভাবে সক্রিয় বনগাঁয়। পুজোর মরসুমে কোনওরকম নাশকতা ও অসামাজিক কাজ রুখতে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারই মাঝে গোয়েন্দা আধিকারিকের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রশাসনিক আধিকারিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া করেছে।
The post গোয়েন্দা আধিকারিককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার, গ্রেপ্তার ২ appeared first on Sangbad Pratidin.
