অর্ণব দাস, বারাকপুর: স্কুলবাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে শোরগোল হালিশহরে। রাতের অন্ধকারে বিনা নোটিসে স্কুল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন প্রধান শিক্ষিকা। এদিকে শোনা যাচ্ছে, আদালতের নির্দেশেই ভাঙা হয়েছে বাড়িটি। গোটা ঘটনায় তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে (Halishahar) একটি বাড়ি ভাড়া করে চলছিল বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল। পড়ুয়ার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। সোমবার সকালে আচমকা স্কুলের শিক্ষিকা ও পড়ুয়ারা স্কুলে গিয়ে দেখেন, উধাও স্কুলবাড়ি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ইট। অর্থাৎ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাড়িটি। যেখানে দীর্ঘদিন ধরে লেখাপড়া করছিল খুদেরা। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অর্পিতা বিশ্বাসের দাবি, স্কুলের বাড়িটি ভাঙা হতে পারে বা এই সংক্রান্ত কোনও তথ্যই তাঁদের কাছে ছিল না। তাদের কিছুই জানানো হয়নি। এমনকী কে বাড়িটি ভেঙেছে সে বিষয়েও কোনও তথ্য নেই বলেই দাবি তাঁর।
[আরও পড়ুন: এবার বেআইনি কার্বাইড বিস্ফোরণ, মালদহে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেল অন্তত ২জনের]
এদিকে স্কুল ভাঙার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়া ও অভিভাবকরাও। প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশে ওই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। যদিও কেন, তা স্পষ্ট নয় এখনও। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, এবিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক এবং মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে।