সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: শ্বাসনালিতে বেলুন (Balloon) আটকে মর্মান্তিক মৃত্যু সাত বছরের এক শিশুর। মামার বাড়িতে পুজো দেখতে গিয়ে চিপসের প্যাকেটে থাকা বেলুন ফেটে একটি টুকরো আটকে যায় শিশুটির শ্বাসনালিতে। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করে শিশুটি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনায় শোকের ছায়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটের দিগম্বরপুরে।
মামাবাড়ির গ্রামের চণ্ডী ও শীতলা পুজো উপলক্ষে বাবা-মায়ের সঙ্গে বেড়াতে যায় সাত বছরের শুভজিৎ। বুধবার সকালে মামার বাড়ির বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে বেরিয়ে দোকান থেকে সকলে মিলে চিপসের প্যাকেট কেনে। সেই চিপসের প্যাকেট থেকে প্রত্যেকেই কোনও না কোনও খেলনা পায়। শুভজিতের চিপসের প্যাকেটে বেলুন ছিল। খেলার ছলে বন্ধুদের সঙ্গে বেলুন ফোলাতে শুরু করে ছোট্ট শুভজিৎ। কিন্তু হঠাৎই সেই বেলুন ফেটে বেলুনের একটি টুকরো শুভজিতের মুখে ঢুকে আটকে যায়। এরপর তা চলে যায় তার শ্বাসনালিতে। ছোট্ট শুভজিৎ বারবার তা মুখ থেকে তা বের করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সেই রবারের টুকরো বের করতে পারেনি। শ্বাসনালিতে বেলুনের টুকরো আটকে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে শুভজিৎ। বন্ধুদের থেকে খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে যায় শুভজিতের আত্মীয় প্রতিবেশীরা। দ্রুত তাকে স্থানীয় গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়। তবে শেষ রক্ষা হল না। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক জানান স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। চিকিৎসক অভীক হাতি জানান, “বেলুনের টুকরো শ্বাসনালিতে আটকে যাওয়ায় প্রথমেই কাবু হয়ে পড়ে শুভজিৎ। তাই শিশুটির চিকিৎসা করার কোনও সুযোগই আমি পাইনি।”
[আরও পড়ুন: যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে ধৃত প্রেমিক]
শিশুর আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন শুভজিতের বাবা নেপাল বেরা ও মা অপর্ণা বেরা। বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন শুভজিতের মামা শিবশংকর বাঁশ। শিবশংকর বাঁশ জানিয়েছেন, “বন্ধুদের সঙ্গে বেরোনোর আগে এদিন সকালে শুভজিৎকে টাকা দিই। আমার দেওয়া টাকা দিয়েই চিপস কেনে শুভজিৎ। স্বপ্নেও ভাবিনি এইভাবে ও ছেড়ে চলে যাবে।” সাত বছরের শিশুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া গ্রামজুড়ে। ঘটনায় হতচকিত শুভজিতের বন্ধুরাও।
[আরও পড়ুন: কুকুরের সেবায় অযত্ন! সারমেয়প্রেমীদের শাসানির জেরে জেরবার পুলিশ]
The post শ্বাসনালিতে বেলুনের টুকরো আটকে মৃত সাত বছরের শিশু, শোকস্তব্ধ পরিবার appeared first on Sangbad Pratidin.
