নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের (TMC) উপ-প্রধানের ভাইকে গুলি করে খুনের অভিযোগ। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) গড় বীরভূমের বড়শাল। ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলেই দাবি করেছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। কাউকে গ্রেপ্তারও করা যায়নি।
বীরভূমের (Birbhum) বড়শাল পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান ভাদু শেখ। তাঁর ভাই বাবর শেখ তৃণমূলের কোনও পদাধিকারী না হলেও সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে বাইকে বড়শালের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। অভিযোগ, বকটুই এলাকায় পৌঁছতেই একদল দুষ্কৃতী খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে। শব্দ পেয়েই স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাবর। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এখনও দেহ রয়েছে মর্গে। জানা গিয়েছে, আজ বাবরের দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।
[আরও পড়ুন: জেলা পরিষদে তোয়ালের রং বদল! দল বদলের ইঙ্গিত নাকি? কী বলছেন সভাধিপতি?]
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বীরভূম। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। অনুব্রত মণ্ডলের অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কতীরা হামলা চালায় বাবরের উপর। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবিও জানান তিনি। যদিও এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলেই মন্তব্য করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। তাঁর দাবি, গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই প্রাণ গিয়েছে বাবরের। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে অশান্তির ছবি উঠে আসছে। সম্প্রতি মালদহ ও আসানসোলের দুই বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। এবার তৃণমূল কর্মী খুনে নাম জড়াল বিজেপির।