ধীমান রায়, কাটোয়া: হায়দরাবাদে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় সারা দেশ উত্তাল। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে লরিতে তুলে নিয়ে চম্পট দিয়েছিল চালক। শেষপর্যন্ত পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পান ওই মানসিক ভারসাম্যহীন বছর চল্লিশের মহিলা। পুর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম থানার পুলিশ তাড়া করে অভিযুক্ত লরিচালককে ধরে ফেলে। ধৃতের নাম আবুল শেখ (৪২)। মঙ্গলকোট থানার কুলসোনা গ্রামে তার বাড়ি।
সোমবার গভীর রাতে যখন গুসকরা শহর থেকে ওই পথচারী মহিলাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে পালাচ্ছিল আবুল। তখনই এক কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারের চোখে পড়ে যায়। তারপর গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ লরিটি তাড়া করে অভিরামপুরের কাছে ধরে ফেলে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত আবুল শেখকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে সিমেন্ট আনতে গিয়েছিল আবুল শেখ। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ ফিরে নিজের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া, বিশ্রাম সেরে রাতে দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।রাত প্রায় পৌনে একটা নাগাদ আবুল তার গাড়ি দাঁড় করিয়ে পুরসভার চেকপোস্টে টোলট্যাক্স মিটিয়ে দেয়। তারপর তার লরির চাকাগুলি পরীক্ষা করতে থাকে। সেখানে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই অজ্ঞাতনামা মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা। পুলিশ জানায়, তখনই আবুল জোর করে ওই মহিলাকে তার গাড়িতে তুলে নেয়। কিছুটা দুরেই দাঁড়িয়েছিলেন বিকাশ গড়াই নামে এক সিভিক ভলোন্টিয়ার। তিনি ছুটে গিয়ে মহিলাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
কিন্তু আবুল শেখ তাকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে গাড়িতে স্টার্ট দিয়ে রুদ্ধশ্বাসে বেরিয়ে যায়। এরপরেই বিকাশবাবু ঘটনার কথা জানান গুসকরা ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অরুণকুমার সোমকে। অরুণবাবু তড়িঘড়ি মহিলা ফোর্স সঙ্গে নিয়ে গুসকরা-মানকর রোড ধরে লরিটিকে তাড়া করেন। তারপর অভিরামপুরের কাছে লরিটি ধরে ফেলে মহিলাটিকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ মহিলার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। আবুল শেখকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তার লরিটিও আটক করা হয়েছে।
The post মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে লরিতে তুলে চম্পট, তাড়া করে ধরল পুলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.
