অভিষেক চৌধুরী, কালনা: বিয়ের পাঁচ মাস পেরতে না পেরতেই ভয়ংকর কাণ্ড। শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার বধূর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য কালনা (Kalna) থানার বৈদ্যপুরের রামনগরে। অভিযোগ, দাবি মতো পণ না পেয়েই বধূকে খুন করেছে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম দীপা ঘোষ। কালনা থানার বৈদ্যপুরের রামনগরের বাসিন্দা সুমিত ঘোষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তরুণীর। পরবর্তীতে মাস পাঁচেক আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। মৃতার বাবা জানান, “মেয়ে ভালোবেসে বিয়ে করে। জামাই কোম্পানিতে কাজ করত। বিয়ের পর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে পণের চাপ দিচ্ছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দিতে না পারায় মেয়ের উপর অত্যাচার করত।” এই নিয়ে অশান্তি চলছিলই। এসবের মাঝে রবিবার সকালে শ্বশুরবাড়িতে উদ্ধার হল দীপার ঝুলন্ত দেহ।
[আরও পড়ুন: কুণালের গলায় অনুব্রতর সুর! রেড রোডের ধরনা থেকে বিজেপিকে ‘চড়াম চড়াম’ হুঁশিয়ারি]
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ওই বধূর বাপের বাড়ির লোকজনের কাছে এক লক্ষ টাকা পণ হিসাবে দাবি করেন শ্বশুরবাড়ি। সেই টাকা দিতে পারায় বধূর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হত। পণের দাবিতে এই খুন বলেই দাবি পরিবারের। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।