রমনী বিশ্বাস, তেহট্ট: ফেসবুকে প্রেম, তারপর বিয়ে। কিন্তু সুখে সংসার করা হল না। বিয়ের তিন মাসের মাথায় তরুণীকে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তেহট্ট থানার হরিপুরে। পুলিশের জালে মৃতার স্বামী ও শাশুড়ি।
জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম পূর্ণিমা মণ্ডল। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার (Bagda) বাসিন্দা তিনি। বছর খানেক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা আশিস মণ্ডলের সঙ্গে পরিচয় হয় পূর্ণিমার। ধীরে ধীরে কথাবার্তা। তারপর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই যুগল। আশিসের পরিবারের তরফে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় তরুণীর বাড়িতে। কিন্তু বেঁকে বসে পূর্ণিমার পরিবার। আশিসের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হননি তাঁরা। এদিকে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধবেন মনে মনস্থির করে ফেলেছন তরুণী। এরপর প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়েন তিনি। কয়েকদিন পর তাঁদের বিয়ে মেনে নেয় পরিবার। তিনমাসের মাথায় শনিবার ঘর থেকে উদ্ধার হয় তরুণীর দেহ।
[আরও পড়ুন: মহিষাদলের পুজোয় অতিথিদের উপহার, পাটের উপর ফুটে উঠছে দেড় হাজার দুর্গার মুখ]
মৃতার মা সিতু বিশ্বাসের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পূর্ণিমাকে কারও সঙ্গে কথা বলতে দিত না। সর্বদা সন্দেহের চোখে দেখত। শুধু তাই নয়, বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্যও চাপও দিতে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পূর্ণিমার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। শনিবার সেই অত্যাচার চরম মাত্রায় পৌঁছায়। পূর্ণিমার বাপের বাড়ির সদস্যজদের দাবি, গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। প্রমাণ লোপাটের জন্য ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে দেহ।
খবর পেয়ে শনিবার রাতেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহ। রাতেই আটক করা হয়েছে মৃতের স্বামী ও শাশুড়িকে। সত্যিই কী খুন করা হয়েছে পূর্ণিমাকে? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।