সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: মূক-বধির তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুরে। নির্যাতিতাকে ভর্তি করা হয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো রবিবারও পরিচারিকার কাজ করতে গিয়েছিলেন মূক ও বধির ওই তরুণী। সাধারণত বিকেল চারটের মধ্যেই বাড়ি ফিরে যান তিনি। কিন্তু ওইদিন সন্ধে হয়ে যাওয়ার পরও ফেরেননি। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের লোকেদের সন্দেহ হয়। খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁরা। এর পর এলাকার এক বেসরকারি কারখানার সামনের জঙ্গলে তরুণীকে দেখতে পান। সঙ্গে ছিল দুই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন তাড়া করে দুই অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে দুজনকে পাকড়াও করে। নির্যাতিতাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, জঙ্গলে ধর্ষণ করা হয় তরুণীকে।
[আরও পড়ুন: অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে SAT-এ বেনিয়মের অভিযোগ তুলে আইনি জটে অধ্যাপক! দায়ের FIR]
এই ঘটনার খবর পেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে যান সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার জানান, “এই বাংলা দুষ্কৃতীদের সেফ জোন হয়ে গেছে। ধর্ষকদের মুক্তাঞ্চল বাংলা।” পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দীপঙ্কর লাহা জানান, “অপরাধ হলেই দুষ্কৃতীরা গ্রেপ্তার হয় এই রাজ্যে। এটাই এই রাজ্যের পুলিশের সার্থকতা।” গোটা ঘটনায় অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে পরিবার। সোমবার অভিযুক্তদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে আদালত ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।