সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মহিলাকে ধর্ষণ (Rape) করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ স্থানীয়দের। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার মহেশতলা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর ফটিক ঘাটায়। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে পথ অবরোধ এবং পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এখনও এই ঘটনার ধর্ষণের কোনও ধারা যুক্ত হয়নি। মহিলার বয়ান এবং চিকিৎসকের রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।
বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলা শনিবার ভোরে মোল্লার গেটে নিজের দাদার দোকানে দুধ বিক্রির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দোকানে পৌঁছনোর আগেই বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এক কয়লার দোকানের সামনে অচৈতন্য রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের দাবি, সেই সময় ওই মহিলা বিবস্ত্র ছিলেন। পাশাপাশি মাথায় আঘাতের চিহ্নও ছিল। এমনকি মহিলার টাকাপয়সার ব্যাগ এবং মোবাইল ফোনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পার্শ্ববর্তী এক দোকানদার বিশ্বনাথ আদক পুলিশকে খবর দেয়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মহেশতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাশাপাশি রাস্তায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ গুলিও খতিয়ে দেখে তদন্তে শুরু করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: হিজবুল মুজাহিদিনের নামে হুমকি চিঠি ও ভিডিও! রায়গঞ্জে তীব্র চাঞ্চল্য]
উদ্ধার হওয়া মহিলার বোন-সহ স্থানীয়দের দাবি, ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার পাশাপাশি মহিলার মোবাইল এবং টাকার ব্যাগটিও ছিনতাই করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানাতে থাকেন স্থানীয়রা। পরবর্তী সময়ে মহেশতলার (Maheshtala) ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্থানীয়রা বজবজ ট্রাঙ্ক রোড অবরোধ করেন। মহেশতলার বিধায়ক দুলাল চন্দ্র দাসের ছেলে দেবাশিস দাস ঘটনাস্থলে যান। অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রায় ৪০ মিনিট পর অবরোধ উঠে যায়। কিন্তু এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়। কেন তাদের আটক করা হল এই অভিযোগে পুলিশের গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তবে মহেশতলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছিনতাই বা ধর্ষণের কোনও ধারা যুক্ত হয়নি। আপাতত রক্তাক্ত ও আহত মহিলাকে উদ্ধারের মামলা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মহিলার বয়ান অনুযায়ী মামলা রুজু হতে পারে।