সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক যেন সিনেমা। বিয়ের পর স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে গেল বাপের বাড়ির সদস্যরা। প্রতিশোধ নিতে শ্বশুরকে আটকে রাখলেন যুবক! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে (Bishnupur)। এবিষয়ে এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে খবর।

জানা গিয়েছে, ওই বধূর বয়স ১৯ বছর। বিষ্ণুপুরের একটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর থানা এলাকার খাগড়ামুড়ি এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল তরুণীর। কিছুদিন আগে বিয়ে করে তাঁরা। স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল তাঁদের সংসার। সম্প্রতি ওই যুগলের মধ্যে অশান্তি হয়। জানা যায়, এরপরই তরুণীর শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান জামাইবাবু।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে বর্ধমানের জনবহুল এলাকায় ব্যাংক ডাকাতি, লকার খুলে নগদ টাকা নিয়ে উধাও দুষ্কৃতীরা!]
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হন তরুণীর স্বামী। মীমাংসার জন্য গ্রামে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জানা গিয়েছে, সেখান থেকে ফেরার সময় শ্বশুরকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে তাঁকে আটকে রাখেন যুবক। সাফ জানান, স্ত্রীকে ফেরত দিলে তবেই শ্বশুরকে ছাড়বেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। জানা গিয়েছে, শুক্রবারই শ্বশুরকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ওই যুবক। কিন্তু যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওই তরুণী।
ওই তরুণীর দাবি, তাঁর সঙ্গে ওই যুবকের কোনওরকম সম্পর্ক ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে ওই যুবক তাঁকে উত্যক্ত করতেন। কিন্তু তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। পরবর্তীতে জোর পূর্বক তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁকে বিয়ে করেন ওই যুবক। পরবর্তীতে তাঁর বাবাকে আটকে রাখার অভিযোগও করেন তিনি। তরুণীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন এতদিন জোর করে বিয়ের অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হল না তাঁরা। বিষ্ণুপুর থানার তরফে জানানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেই তদন্ত করা হবে।