নন্দন দত্ত, বীরভূম: বালিঘাট নিয়ে বিবাদের জেরে যুবককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় সিউড়ির (Suri) বাঁশঝোড় গ্রাম। রাতভর ব্যাপক বোমাবাজি হয় এলাকায়। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও উত্তপ্ত এলাকা। খুন ও অশান্তির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ৫।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সন্ধেয়। এদিন সিউড়ি থানার বাঁশঝোড় এলাকার বাসিন্দা মফিজুর খেলতে গিয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। দেরি হওয়ায় বাড়ি থেকে একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। এরপর রাতে দেহ উদ্ধার হয় কবর স্থানে। তাঁর দেহে একাধিক ক্ষত ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে যুবককে। সেই ঘটনাটি জানাজানি হতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে দেহটিকে। রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ। এদিকে ঘটনার জেরে রাতভর তুমুল বোমাবাজি হয় বাঁশঝোড় খাসপাড়া এলাকায়। আতঙ্কে স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: রাতারাতি রং বদল! শুভেন্দুর নাকের ডগায় নন্দীগ্রামের BJP’র কার্যালয় বদলে গেল তৃণমূল অফিসে]
কিন্তু কেন এই খুন? পুলিশের দাবি, পারিবারিক অশান্তির কারণেই এই খুন। যদিও স্থানীয়দের দাবি এর নেপথ্যে বালি খাদান। জানা গিয়েছে, ময়ূরাক্ষী নদীর বালিখাদান কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শেখ কাজল ও শেখ আতাইয়ের গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এর আগে একাধিকবার পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। অভিযোগ, সেই অশান্তির জেরেই শেখ আতাই গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ মফিজুরকে খুন করেছে শেখ কাজলের দলবল। রাতেই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী।
শেখ আতাইয়ের অভিযোগ, শেখ কাজলের দলবলই খুন করেছে মফিজুরকে। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ছেলের এই পরিণতিতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে মফিজুরের পরিবারের সদস্যরা।