অর্ণব দাস, বারাসত: এবার সন্দেশখালি কাণ্ডে মুখ খুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বললেন, ”গোটা ঘটনায় আমি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ। কিন্তু আমি মুখ বন্ধ করে রেখেছি।” সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে তা অত্যন্ত বিরল বলেও মন্তব্য করলেন তিনি।
মঙ্গলবার আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচীর বারাকপুরের বাড়িতে গণেশ পুজোয় যান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। জোর করে মিটিংয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও হয়েছে। তবে সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর যে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তা বিরলতম।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বাংলায় এধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে বলে শুনিনি, জানি না। সব মিলিয়ে আমি ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ। তবে আপাতত আমি মুখ বন্ধ রেখেছি।”
[আরও পড়ুন: এক কোটি পরিবারকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ! প্রকল্পের সূচনা মোদির, কীভাবে আবেদন করবেন?]
প্রসঙ্গত, শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশিকে কেন্দ্র করে মাস খানেক আগে অশান্তির শুরু। গত চারদিন ধরে কার্যত জ্বলছে সন্দেশখালি। শাহজাহান শেখ ও তাঁর দুই সাগরেদ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকার মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, দিনের পর দিন তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়েছে। শাহজাহানের দাপটের কাছে মুখ খোলার সাহস ছিল না কারও। ফলে বাধ্য হয়েছেন মেনে নিতে। শেখ শাহজাহান বেপাত্তা হওয়ার পরও এলাকায় দাপট দেখাচ্ছিল তাঁর শাগরেদরা। অবশেষে বাঁধ ভেঙেছে সহ্যের। তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন এলাকার মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে দরজার ধাক্কা দেওয়া হত। বাড়ির মহিলাদের তৃণমূলের কার্যালয়ে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হত দিনের পর দিন। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও লাভ মিলত না বলেই অভিযোগ।
