সুমন করাতি, হুগলি: সকালে বাড়ি ভাঙচুর আর রাতে অ্যাসিড হামলায় (Acid attack) জখম হলেন মহিলা। ওই মহিলা বিজেপি (BJP) কর্মী। তাই তাঁর উপর এমন হামলা বলেই অভিযোগ আক্রান্তের। আপাতত তিনি শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চণ্ডীতলার ভগবতীপুর এলাকার বছর পঞ্চাশের ওই মহিলার অভিযোগ, শুক্রবার সকালে তাঁর বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়। রাতে অ্যাসিড আক্রান্ত হন তিনি। চণ্ডীতলার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে শনিবার সকালে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মহিলার দাবি, তিনি বিজেপি বুথ এজেন্ট ছিলেন। পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) মিটতেই তাঁর বাড়িতে বার বার হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
কিছুদিন আগেও ওই মহিলার বাড়িতে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পরও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুলিশের সামনেই তিনি গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সেবার তিনি প্রাণে রক্ষা পান। এবার অ্যাসিড হামলায় তিনি জখম হয়েছেন। শনিবার বিকালে শ্রীরামপুর (Serampore) ওয়ালস হাসপাতালে মহিলাকে দেখতে যায় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। বিজেপি নেতা কবীর শংকর বসু আহত মহিলাকে দেখে বেরিয়ে বলেন, ”নির্বাচনের পর থেকে ওঁর উপর আক্রমণ হচ্ছে। পুলিশ সেই ভাবে পদক্ষেপ করেনি। এই ঘটনার পরও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা আইনগত ভাবে এবং রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করব। মহিলা নিজেই বলেছেন, তৃণমূল আশ্রিতরা করেছে।”
[আরও পড়ুন: ‘বাস আটকালে হেঁটেই যাব’, ‘দিল্লি চলো’ সফল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তৃণমূল কর্মীরা]
তৃণমূল (TMC) হুগলি শ্রীরামপুর জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁই বলেন, ”এটা ভুল কথা। যেখানে বিজেপির কোনও প্রভাব নেই, কেন বিজেপির উপর অত্যাচার হবে? আসলে এটা ওদের নিজেদের ঝামেলা। তৃণমূলকে দোষী করে অন্যরকম রূপ দিতে চাইছে। পুলিশ প্রশাসন যথাযথ তদন্ত করবে।”
[আরও পড়ুন: ‘আর একটাও মৃত্যু নয়’, ডেঙ্গু নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, জারি নির্দেশিকা]
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিবেশি শরিকের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে কয়েক বছর ধরে গন্ডগোল ছিল মহিলার। এনিয়ে মামলাও হয়েছে। আগেও একবার তাঁর উপর অ্যাসিড হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মহিলা। হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানান, ”দু’পক্ষের মধ্যে একটা গন্ডগোল হয়েছে। দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে।অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”