শেখর চন্দ্র, আসানসোল: উড়ান শিল্পের সেরা সংস্থার হিসেবে পরিচিত ছিল। অথচ সেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানেরই এমন করুণ পরিণতি! এটা কি শুধুই দুর্ঘটনা নাকি ষড়যন্ত্র অথবা সাইবার অপরাধ? বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় তিনশো জনের মৃত্যুতে এই প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। শুক্রবার বার্নপুরে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসে শত্রুঘ্ন সিনহার বক্তব্য, ''এত মানুষ একসঙ্গে এই দুর্ঘটনার শিকার হলেন এবং এমন একটি বিমানে এই দুর্ঘটনা ঘটল যাকে 'এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি'র সবচেয়ে সেরা বিমান বলা হয়। এই বিমান প্রযুক্তিগতভাবে খুব উন্নত এবং মজবুত। সেই বিমানের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দুটি ইঞ্জিন একসঙ্গে বিকল হয়ে যাওয়া এবং টেক অফের পর ভয়ংকর দুর্ঘটনা! এনিয়ে বহু প্রশ্ন রয়েছে। উড়ান শিল্পের ইতিহাসে মনে হয় এমনটা প্রথমবার হল।"
বার্নপুরের অনুষ্ঠানে আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর কথায়, ''এই দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত চলাকালীন কিছু মন্তব্য করা উচিত নয়। এই দুর্ঘটনা কোনও ষড়যন্ত্র নাকি সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাব? ইঞ্জিন বিকল হওয়ার সঠিক কারণ কী? আমার বলতেও খুব ভয় লাগছে, এটা কি কোন সাইবার অপরাধ বা অন্য কোনও অপরাধ? সন্দেহ আছে। বিশেষজ্ঞরাই এসব বলতে পারবেন।" বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান শত্রুঘ্ন সিনহা। যাঁরা আহত, তাঁদের দ্রুত সুস্থতার প্রার্থনা করেন।
অন্যদিকে, টাটা গোষ্ঠীর ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি বলেন, "যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটার পরেই টাটা গোষ্ঠী মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন, তাকে আমি স্বাগত জানাই। তবে পাশাপাশি এটাই চাইব যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হোক।" এদিন অনুষ্ঠানের শেষে বার্নপুরে দামোদর নদীতে পাকা সেতুর দাবিতে সেতু নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করা সেতুবন্ধ কমিটির নেতৃত্ব শত্রুঘ্ন সিনহার হাতে একটি ফাইল তুলে দেন এবং দাবি করেন যাতে এই সেতুটি খুব দ্রুত তৈরি হয়। তাহলে পশ্চিম বর্ধমান বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া মধ্যে একটি সুন্দর যোগসূত্র তৈরি হবে।
