সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বাংলা আবাস যোজনার জমি নিয়ে বিতর্ক দুর্গাপুরের কাঁকসায়! অন্যের ফাঁকা জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু জমি দখল নয়, বাড়ির পাশে থাকা পুকুরও আবর্জনা ও ইটের রাবিশ ফেলে প্রায় বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ মালিকের। অভিযোগ পাওয়ার পর পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
কাঁকসার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা মেঘনা গোস্বামী। তাঁর বাড়ির সংলগ্ন ফাঁকা জমি দখল করে অন্যের সরকারি বাড়ি তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, তাঁর বাড়ির পাশে থাকা পুকুরও বুঝিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। লিখিত আকারে সে কথা গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে জানিয়েছেন মেঘনাদেবী। তিনি বলেন, "আমাদের জমি দখল করে বাংলা আবাস যোজনার ঘর তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। পুকুর বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ দয়া করে আমাদের জমি ও পুকুর বাঁচান।"
মেঘনাদেবীর অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীনন্দা রায় মহান্তি। তিনি বলেন, "বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি পেতে হলে উপভোক্তার নিজস্ব জমি থাকতে হবে। এটাই নিয়ম। সেক্ষেত্রে মেঘনাদেবীদের নামে থাকা জমির উপর কীভাবে অন্যদের বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি হচ্ছে তা নিয়ে যথেষ্টই সংশয় রয়েছে। তাঁর অভিযোগগুলি সমস্তই খতিয়ে দেখা হবে।" তবে পুকুরে রাবিশ ফেলে তা বোজানোর অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।
ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অপরের জমি দখল করে বাড়ি তৈরির ঘটনাটিকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি। জেলা সহ-সম্পাদক চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "নিশ্চিত টাকার বিনিময়ে কোনও তৃণমূল নেতা এই অপকর্মটি করেছেন। এই সরকারি প্রকল্পে ওখানে যাঁর বাড়ি তৈরি হচ্ছে তাঁকে জেরা করলেই সত্য জানা যাবে।" এদিকে অভিযোগ শুনে রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, "যে কোনও অভিযোগ পেলেই আমি নিজের উদ্যোগেই সেই সব সমস্যা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হবে না।"