দেব গোস্বামী, বোলপুর: বিশ্বভারতী না করুক, বিকল্প পৌষমেলা হচ্ছেই। সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত জানাল বীরভূম জেলা প্রশাসন।
ঐতিহ্য আর ভাবাবেগ বজায় রাখতেই শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির ময়দান পাওয়ার জন্য আবেদন করা হবে বিশ্বভারতীর কাছে। কর্তৃপক্ষ একান্তই শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) ময়দান না দিলে সেক্ষেত্রে বিকল্প পথেই পৌষমেলার আয়োজন হবে বোলপুর ডাকবাংলো ময়দানে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের টালবাহানার পর পৌষমেলা প্রসঙ্গে স্পষ্ট নির্দেশ এসে পৌঁছায় মুখ্যমন্ত্রীর। ফলে কম সময়কে সামনে রেখেই তোড়জোড় শুরু হয় জেলা প্রশাসনিক অন্দরে। তৎপর হয়েছেন জেলার বিধায়ক ও সাংসদেরাও।
[আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর নজরে পাহাড়, জিটিএ-র জন্য ঢালাও অর্থ বরাদ্দ]
শুক্রবার দুপুরে বোলপুর প্রশাসনিক ভবনে বৈঠকে মিলিত হন প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘বিকল্প মেলা হবে। রবীন্দ্র ঐতিহ্য মেনেই সকলের আবেগকে প্রাধান্য দিয়েই পৌষমেলার আয়োজন করা হবে।’’ জেলাশাসক বিধান রায় জানান, ‘‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবনা এবং শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য বজায় রেখেই আয়োজন করা হবে পৌষমেলার। জেলা প্রশাসন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবে পূর্বপল্লি ময়দানের জন্য।’’ যদিও মেলা প্রসঙ্গে সহমত প্রকাশ না করলেও জেলা প্রশাসনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্যরা।