অর্ণব দাস, বারাকপুর: সামনেই নতুন একটা বছর! তার আগেই বন্ধ হয়ে গেল কাঁকিনাড়া নফর চন্দ্র জুটমিল। কাঁচামালের অভাবের কথা জানিয়ে বুধবার থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ হল জুটমিলের গেট। এর ফলে প্রায় তিন হাজার শ্রমিকের কাজ হারানোর আশঙ্কা। যা নিয়ে কারখানার গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। গত কয়েকদিন আগেই জগদ্দল জুট মিলও বন্ধ হয়েছে। কাজ হারান কয়েকশ শ্রমিক। তালিকায় যুক্ত হল কাঁকিনাড়া নফর চন্দ্র জুটমিলও।
জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতোই বুধবার সকালে মিলে কাজেন যান শ্রমিকরা। সেই সময় কাঁকিনাড়া নফর চন্দ্র জুটমিলের গেটে সাস্পেসন অফ ওয়ার্কের নোটিশ দেখতে পান কর্মীরা। এরপরেই কারখানার গেটের বাইরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। যা নিয়ে সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। জুটমিলেরই এক কর্মী রুস্তম আলী আনসারী বলেন, "অনেকদিন ধরেই সমস্যা চলছে। এরপর এদিন কাজে এসে দেখলাম ১৫ দিন মিল বন্ধ থাকবে। আমরা চাই, আমাদের রুজি-রুটি যেন বন্ধ না হয়। তাই মিল চালু থাকুক চাই।" আরও এক কর্মী রমেশ দাস বলেন, "আগের তুলনায় মিলে উৎপাদন বেশি হচ্ছে। তবুও মালিক বলছে লাভ হচ্ছে না, পাট ঠিক মত আসছে না। তাই কিছুদিন মিল বন্ধ রাখতে হবে। খোলার পর আবার বন্ধ হবে বলে শুনছি।" এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই এদিন জুটমিলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন শ্রমিকরা।
অন্যদিকে ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, "এই সময় কাঁচামালের দাম বেশি থাকে। তাই মুনাফার জন্য মালিক পক্ষ মিল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আমাদের সরকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা শ্রমিকের পক্ষে।'' দেবজ্যোতিবাবুর কথায়, শ্রমিকদের সম্প্রতি সরকার হস্তক্ষেপ করে আঠাশ দিনের মধ্যে রিলায়েন্স জুট মিল খুলিয়েছে। এক্ষেত্রেও সরকার শ্রমিক স্বার্থে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
