শেখর চন্দ্র, আসানসোল: গরু পাচার মামলায় আবারও হল না জামিন। ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। আগামী ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের। অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
জেল হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার ফের অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। এদিন অনুব্রতর আইনজীবী আর তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন জানাননি। তবে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট ডি ফ্রিজের আবেদন জানান। আগামী ১৯ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি। বিচারকের কাছে নতুন কেস ডায়েরি জমা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, চার নম্বর চার্জশিট জমা দেওয়ার পর ৪৮ জন সাক্ষীর বয়ান পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: উদযাপন হলেও আজ নয় মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন, জানেন কবে জন্মেছিলেন মমতা?]
অনুব্রত মণ্ডলকে আরও জেরা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়। ফের জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করার অনুমতিও চাওয়া হয়। আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন। সকাল আটটা থেকে সন্ধে ছ’টা সিবিআই চাইলে তাঁকে সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করতে পারে বলেই নির্দেশ আদালতের। আপাতত আগামী ১৪ দিন ফের জেলেই থাকতে হবে গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে। আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট।
এদিকে, এদিন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে তিহাড় জেল থেকে ভারচুয়ালি আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। সায়গল হোসেন বিচারককে জানান, এখানে খুব ঠান্ডা। তাই তাঁকে আসানসোলে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। বিচারক জানান, এ বিষয়ে আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এদিন সায়গল হোসেনকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।