নন্দন দত্ত, বোলপুর: শুক্রবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। অসুস্থ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চাঞ্চল্য ছড়ায় বোলপুরে নিচুপট্টি এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গেই নিচুপট্টিতে অনুব্রতর বাড়িতে এসে হাজির হন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তবে বোলপুর থানার পুলিশ বাড়ি ঘিরে রেখেছিল। কাউকে ভিতর প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যদিও অসুস্থতার বিষয়ে পরিবার থেকে বিস্তারিত কিছু জানান হয়নি। ঠিক কি হয়েছে গোপনীয়তা বজায় রাখছে সব পক্ষই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহখানেকের উপর বোলপুরে নিচুপট্টি বাড়িতে ছিলেন না অনুব্রত কন্যা সুকন্যা। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি ফিরলে পরিচারিকা এবং অন্যদের থেকে জানতে পারে তার বাবা অনুব্রতকে তিহাড় জেলে অমানবিক অত্যাচার করা হচ্ছে। এরপরই রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে মাথা ঠিক না রাখতে পেরে বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র-সহ প্রয়োজনীয় জিনিস ভাঙতে শুরু করেন। বেগতিক দেখে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা বীরভূম জেলার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে খবর দেয়। মুহূর্তের মধ্যে একের পর এক নেতাকর্মী হাজির হন।
[আরও পড়ুন: ‘আমার বিরুদ্ধে একটাও কথা বললে…’, কেজরিওয়ালের অসম সফরের আগে হুঁশিয়ারি হিমন্তর]
সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে যান কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ, মন্ত্রী চন্দনাথ সিংহ, বোলপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ওমর শেখ, তৃণমূলের শহর সভাপতি নরেশ চন্দ্র বাউড়ি, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল, অর্ক দত্ত-সহ অন্যান্যরা। সুকন্যাকে সান্ত্বনা দেওয়ার সময় সকলেই জানায় পাশে আছি। উত্তরে সুকন্যা জানান, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলার পরও কেউই পাশে নেই। কেউই খোঁজখবর নেন না। বাবার এরকম অবস্থা আর সকলে মজা দেখছে।”
ভেঙে পড়েন। রাগান্বিত হয়ে আরও বলেন, “কাউকে ছাড়া হবে না। বাবার কিছু হলে কেউ রেহাই পাবেন না।” চিৎকার চেঁচামেচিতে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। যদিও শনিবার সকাল দশটার পর ঘুম থেকে ওঠেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা। স্বাভাবিক রয়েছে সবকিছু। মা প্রয়াত হয়েছেন বছর দুয়েক আগে, বাবা তিহাড় জেলে। এই অবস্থায় মানসিক অবস্থা ঠিক না রাখতে পেরেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সুকন্যা। এ ব্যাপারে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কিছুই জানায়নি।