অর্ণব দাস, বারাসত: দল তাঁর পাশে আছে, সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে শুক্রবার এমনই দাবি করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। তার আগেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে আইনি সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সংগঠনের কাজে অসুবিধা হবে না বলেই জানান আরেক সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার । ইডির হাতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেপ্তারি নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার দুই হেভিওয়েট সাংসদের এই মন্তব্য নিয়ে শুরু জোর চর্চা।
হাবড়ার বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ইডি গ্রেপ্তার করার পর বারাসত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের প্রথম বৈঠক হয় বৃহস্পতিবার। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি তথা সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ন গোস্বামী, বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় সহ ব্লক এবং টাউনের নেতৃত্বরা। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে জেলার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় সংগঠনকে চাঙ্গা করতেই বৈঠক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা, শোকপ্রকাশ মমতার]
যদিও তৃণমূল নেতৃত্বর দাবি, এদিনের বৈঠকে প্রতিটি ব্লক এবং টাউনে বিজয়া সম্মেলনীতে নতুন এবং পুরনো কর্মীদের নিয়ে অঞ্চল ভিত্তিক পথসভা করার কথা বলা হয়েছে। এই পথসভার মাধ্যমে ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় রাজ্যের প্ৰতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার দিক সাধারন মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ভোটার তালিকা। সেই তালিকায় ভোটারদের নাম সংযোজন এবং বিয়োজন করার কাজ শুরু করতেও এদিন বুথ স্তরের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বারাসতের সাংসদ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “বিষয়টি বিচারাধীন। তদন্ত চলছে। তবে ব্যাক্তিগতভাবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কি করেছেন, তাতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। দল এই জেলায় সাংগঠনিকভাবে শক্ত ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রতিটি স্তরেই উপযুক্ত নেতৃত্ব আছেন। ফলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের না থাকা সংগঠনের কাজে অসুবিধা হবে না। তবে, সমস্যা হচ্ছে কি না সেটা সম্মুখীন হওয়ার পরেই বোঝা যাবে।” খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সাংগঠনিকভাবে বিভাজিত। প্রতিটি সাংগঠনিক জেলাতেই তৃণমূলের মজবুত নেতৃত্ব। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আমাদের সহকর্মী। তাঁর গ্রেপ্তারিতে আমাদের খারাপ লাগছে। কিন্তু সংগঠনে তার কোন প্রভাবই পড়বে না।”
অন্যদিকে, শ্যামনগর রত্নেশ্বর ঘাটে পিস হেভেন উদ্বোধন করেন জেলার আরেক হেভিওয়েট সাংসদ অর্জুন সিং। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক একজন ভালো লোক। ইডির পর ওঁর যখন জেল হেফাজত হবে, তখন দেখা করতে যাব। তাঁর পাশে দাঁড়াব। আইনি সাহায্যের প্রয়োজন হলে সেটাও করব। মানসিক দিক থেকে সবসময় ওঁর পাশে থাকব।”
দেখুন ভিডিও: