অর্ণব দাস, বারাকপুর: রামনবমীর মিছিলে ইজরায়েলের পতাকা! ভাটপাড়ার মিছিলে এহেন দৃশ্য দেখে চমকে উঠেছেন অনেকে। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক উসকে উঠেছে। তৃণমূল-বিজেপি তরজা শুরু হয়েছে। তবে বাড়তি পুলিশ প্রহরা থাকায় শান্তিপূর্ণভাবেই মিটেছে রামনবমীর উৎসব। দিনভর অস্ত্র নিয়ে বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একাধিক মিছিল হলেও শেষবেলায় অর্জুন সিংয়ের শোভাযাত্রাই প্রচারের সব আলো কেড়ে নিল কার্যত।
রামনবমীর মিছিলে ইজরায়েলের পতাকা! নিজস্ব ছবি।
রবিবার রামনবমীতে অশান্তির আশঙ্কা এড়াতে ভাটপাড়া, জগদ্দল-সহ বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের প্রায় সর্বত্র কড়া পুলিশি ব্যবস্থা ছিল বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে। মিছিলে নজরদারি রাখা হয় ড্রোনের মাধ্যমে। একইসঙ্গে মন্দির, মসজিদ, বাজার-সহ এলাকাগুলিতে লাগানো হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। রাস্তা লাগোয়া বাড়ির ছাদে মোতায়েন ছিল নজরদারি। উদযাপন যাতে শান্তিপূর্ণ হয়স, তার জন্য অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন ছিল ভাটপাড়া, জগদ্দল দুই থানা এলাকায়। ঘোষপাড়া রোডের ভাটপাড়ার আর্য সমাজ মোড় থেকে হনুমান মন্দির পর্যন্ত মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন। এই মিছিলে একাধিক যুবক এমনকী কিশোরদের অস্ত্র হাতে দেখা গিয়েছিল।
কিন্তু বিতর্ক বাঁধল অর্জুনের হাতে ইজরায়েলের পতাকা দেখে। তাঁর একহাতে দেখা যায় হনুমানজির পতাকা, আরেক হাতে ইজরায়েলের পতাকা। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হয়েছে ইজরায়েল–প্যালেস্টাইনে যুদ্ধ এখনও চলছে। এমন আবহে রামনবমীতে বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদের এই কীর্তি নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তিনিও ভাটপাড়ার ঘোষপাড়া রোডের পালঘাট রোড থেকে জগদ্দলের গোলঘর পর্যন্ত রামনবমীর মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন। একসঙ্গে দেখা না গেলেও একই মিছিলে ছিলেন অর্জুনপুত্র, ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক পবন সিং।
অর্জুনের হাতে ইজরায়েলের পতাকা প্রসঙ্গে সোমনাথ শ্যামের দাবি, "ধর্ম আর রাজনীতি মেলালে চলবে না। যাঁরা এটা করেছে, তাঁরা চায় ধর্মীয় মিছিল, রামের মিছিল নষ্ট করতে। এটা একটা ষড়যন্ত্র।" আর অর্জুন সিংয়ের সাফাই, ''মহরমের মিছিলে এখানে ফিলিস্তিনের (প্যালেস্টাইন) পতাকা বের হয়। তাহলে রামনবমীতে ভারত-বন্ধু ইজরায়েলের পতাকা নিলে কী দোষ?''