বিক্রম রায়, কোচবিহার: নিশীথ প্রামাণিকের পর এবার জন বার্লা (John Barla)। ফের উত্তরবঙ্গের আরেক বিজেপি সাংসদ (BJP MP) তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জারি হল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। আদালত অবমাননার মামলায় কেন্দ্রের সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তথা আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (Arrest Warrent) জারি করল তুফানগঞ্জ মহকুমা আদালত।
ঘটনা সাড়ে তিন বছর আগেকার। ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল লোকসভা ভোটে (Loksabha Election) নির্বাচনি বিধি লাগু থাকলেও বিডিও অফিস চত্বরে বাইক ও গাড়ি নিয়ে র্যালি করেছিলেন আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) লোকসভা কেন্দ্রের তৎকালীন বিজেপি প্রার্থী জন বার্লা ও তাঁর দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। ওই কর্মসূচির কোনও অনুমতি ছিল না পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও তিনি মিছিল করায় বক্সিরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) পক্ষ থেকে।
[আরও পড়ুন: ‘মৌলবাদের সমর্থকদের কোনও দেশে কোনও স্থান নেই’, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গর্জন মোদির]
সেই মামলায় জন বার্লা-সহ মোট চারজনের নাম ছিল। বাকি তিনজন আগেই মুক্তি পেয়েছেন । গত ১৫ নভেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে আদালতে হাজির হওয়ার সমন পাঠানো হয়। কিন্তু তারপরেও তাঁর আইনজীবী বা জন বার্লা উপস্থিত না হওয়ায়, এবার তাঁর বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে তুফানগঞ্জ মহকুমা দায়রা আদালত।
[আরও পড়ুন: ফের বাড়ল ED শীর্ষকর্তার মেয়াদ, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার ধারাবাহিকতা রাখতেই সিদ্ধান্ত?]
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে সোনার দোকানে চুরির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ার শহরের দুটি সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। প্রথম ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথের বিরুদ্ধে আই পি সি ৪৫৭,৩৮৫ ও ৪১১ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়। দ্বিতীয় চুরির ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬১, ৩৭৯ ও ৪১১ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এই দুই মামলার বিচার বারাসাতের এমএলএ, এমপি আদালতে বিচারের জন্য গিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের অনুমতি ক্রমে এই দুই মামলা ফের আলিপুরদুয়ারের ট্রায়াল কোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপরই নিশীথের বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।