শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: গোয়ালপোখর কাণ্ডে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল আরও এক অভিযুক্ত। ধৃতের নাম শেখ হজরত। ওই যুবক এনকাউন্টারে মারা যাওয়া সাজ্জাক আলমের পরিচিত বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ধৃত ব্যক্তি অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন বলে অনুমান।
আদালত থেকে ফেরার পথে পুলিশকে গুলি করে প্রিজন ভ্যান থেকে পালিয়েছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলম। দুই পুলিশ কর্মী ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁকে খোঁজার জন্য খানাতল্লাশি শুরু করে জেলা পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে এনকাউন্টারের সময় পুলিশের গুলিতে মারা যান সাজ্জাক। পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, শনিবার সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল সাজ্জাক। তাঁকে থামাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ফের সাজ্জাক গুলি চালায়। তখন বাধ্য হয়ে পুলিশ গুলি চালালে মারা যায় সাজ্জাক।
কিন্তু বন্দুক কোথা থেকে পেয়েছিল সাজ্জাক? পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘটনার দিন ইসলামপুর আদালতে মামলার শুনানির জন্য তোলা হয়েছিল সাজ্জাককে। আদালত চত্বরেই কোনওভাবে আগ্নেয়াস্ত্র তাঁর কাছে পৌঁছে দিয়েছিল আব্দুল হোসেন ওরফে আবাল। ইসলামপুর সংশোধনাগারে সাজ্জাক ও আবালের পরিচয় হয়েছিল। পুলিশ অনুমান করছে, আবালের সঙ্গে শেখ হজরতের পরিচয় আছে। শেখ হজরতই ওই বন্দুক সরবরাহ করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোয়ালপোখর থানার পুলিশ রবিবার ভোররাতে গলসিয়াপোখর গ্রামে হানা দেয়। বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের উপর হামলা চালানোর পর বাইক করে পালিয়েছিল সাজ্জাক। সেই বাইকের ব্যবস্থাও কি শেখ হজরত করেছিলেন? সেই প্রশ্নও সামনে আসছে। পুলিশ, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃত ব্যক্তি কাজের জন্য মাঝেমধ্যেই বাইরে যেতেন বলে খবর। কী কাজ করতেন তিনি? কেন মাঝেমধ্যেই দীর্ঘদিনের জন্য বাইরে যেতেন? সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।