shono
Advertisement

রুটি ব্যাংকের একশো দিন, বিরিয়ানি খেলেন স্টেশনের ভবঘুরেরা

৩৫০ জনের হাতে তুলে দেওয়া হল কম্বল। The post রুটি ব্যাংকের একশো দিন, বিরিয়ানি খেলেন স্টেশনের ভবঘুরেরা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:16 PM Jan 09, 2019Updated: 08:16 PM Jan 09, 2019

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: এটিও এক রকমের ব্যাংক। এরও কর্মীরা মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছে যান। এখানে টাকা জমানো যায় না। জমানো হয় খাবার। অভিনব এই ব্যাংটির নামটিও খাসা। নাম তার রুটি ব্যাংক। অল ইন্ডিয়া হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের কর্মীরা রুটি জোগাড় করে স্টেশনের ভবঘুরেদের প্রতিদিন রাতে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয়েছিল এই পরিষেবা। সোমবার ১০০ দিনের মাথায় সেই ভবঘুরে খাওয়ানো হল বিরিয়ানি। কাটা হল কেক। ৩৫০ জনের হাতে তুলে দেওয়া হল কম্বল।

Advertisement

সংস্থার চেয়ারম্যান বুম্বা মুখোপাধ্যায় বলেন শুরুটা হয়েছিল রুটি সংগ্রহ দিয়ে। কয়েকজন সহৃদয় ব্যক্তি এই ব্যাংক পরিষেবার সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন। এখন তা মহিরূপ নিয়েছে। আসানসোল স্টেশনের একশো ভবঘুরে মানুষকে তাঁরা দৈনিক রাতে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। রুটি সবজি ও মিষ্টি বা গুড় থাকে পাতে। তবে খাবারের বৈচিত্র আনতে তাঁরা অন্যরকমও উপায়ও বের করেছেন। প্রথমদিকে ঘরে ঘরে রুটি সংগ্রহ হত। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আসানসোলেই সংস্থার সদস্য রয়েছে ৭০০ জনের মতো। প্রত্যেকের স্পেশ্যাল ডে রয়েছে। কারওর নিজের বা ছেলে মেয়েদের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীর মতো দিনগুলিও রয়েছে। সদস্যরা সেই বিশেষ দিনগুলি পালন করছেন স্টেশনে এসে। সেদিন রুটির পরিবর্তে রাধাবল্লভী, আলুমটর বা ভাত-মাংসের আয়োজন করা হয়। সংস্থার কর্মীরাই সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা করেন। ফলে রুটি ব্যাংক এখন ফুড ব্যাংকের রূপ নিয়েছে। তিনি বলেন, চেনা পরিচিতরা বাদেও ফেসবুক বন্ধুদের আবেদন করা হয় এই কাজে এগিয়ে আসার জন্য। তাতে বেশ সাড়া পাওয়া গিয়েছে। প্রতিদিন যাঁরা এই পরিষেবা পান সেই মোক্তার, রাজু, সাধনা, প্রীতমরা বলেন রাতের খাবার জোগাড় করার দুঃশ্চিন্তা অনেকটা কমেছে। তবে দিনের বেলাতে এই পরিষেবা পেলে আরও ভাল হত।

[মন্দির সংস্কার, তারাপীঠে দেবীর বিগ্রহ সরল পাশের শিবমন্দিরে]

সংস্থার সদস্য সম্রাট সিনহা বলেন, স্পেশ্যাল সেলিব্রেশন ডে-তে কেক কাটা হয়। কেক বেলুন দেওয়া হয় শিশুদের। প্রথমদিকে এইকাজ করতে গিয়ে আরপিএফের বাধা পেয়েছিলেন। এখন আর স্টেশনের ভেতর নয়, বাইরে স্টেশন চত্বরে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হয়। জানা গিয়েছে, সম্পন্ন ঘরের মানুষদের কাছ থেকে ঘরে তৈরি খাবার সংগ্রহ করেন ব্যাংকের সদস্যরা। সদস্যরা জানিয়েছেন, কোনও বাসি খাবার তাঁরা সংগ্রহ করেন না। সম্পন্ন গৃহস্থের কাছ থেকে দু’টি করে রুটি সংগ্রহ করা হয়। তার পর সেই খাবার তাঁরা পৌঁছে দেন স্টেশনের দুঃস্থদের কাছে। এ ভাবেই গরিবদের জন্য খাদ্য সুরক্ষিত করছে অল ইন্ডিয়া হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের ফুড ব্যাংক। আসানসোল ছাড়াও কলকাতা, পাটনা, রাঁচি ও মুম্বইয়ের হাজি আলিতেও এই পরিষেবা চালু হয়েছে। তবে আসানসোলের মত দৈনিক পরিষেবা এখনও সেখানে চালু করা যায়নি।

The post রুটি ব্যাংকের একশো দিন, বিরিয়ানি খেলেন স্টেশনের ভবঘুরেরা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup মহানগর toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার