জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: পুজোর আগেই সুখবর ভোজন রসিক বাঙালিদের জন্য৷ প্রতিশ্রুতি রেখে দুর্গাপূজার আগেই প্রথম ধাপে ভারতে পদ্মার ইলিশ (Hilsa) পাঠাল বাংলাদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর একে একে মোট ১৩ টি ট্রাকে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ঢুকে পড়ল পদ্মার (River Padma)রুপালি শস্য৷ বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এদিন মোট ৪০ থেকে ৪৫ টন ইলিশ মাছ এসেছে৷ এদের ওজন মোটামোটি ৭০০ গ্রাম থেকে ১.৫ কেজি৷
বাংলাদেশের (Bangladesh) বাজারে চাহিদার কারণে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল৷ কিন্তু চার বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার পুজোর আগে ইলিশ পাঠাল ভারতে৷ বাংলাদেশ সরকারের তরফে ৩,৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি মিলেছে। বাংলাদেশের ৭৯ টি সংস্থা এ দেশের দুর্গাপূজা (Durga Puja)উপলক্ষে ইলিশ রপ্তানি করবে ৷ একজন রপ্তানিকারী ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে ৷ মোট ৩,৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে রপ্তানি হবে ৷ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে রপ্তানির কাজ ৷
[আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিট, অনুমোদন দিল রাজভবন]
বৃহস্পতিবার পদ্মার ইলিশের প্রথম চালান আসায় তা শনিবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে ঢুকে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। শুরুর দিকে দাম হয়তো একটু বেশি থাকবে। ১ কেজি ইলিশ পাইকারি বাজারে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা। পরে তা জোগানের সঙ্গে কিছুটা নিম্নমুখী হতে পারে। এদিন সীমান্ত পেরিয়ে পেট্রাপোল বন্দরে ইলিশ ঢুকতেই উৎসাহ দেখা যায় বন্দরের ব্যবসায়ী-সহ সেখানকার মানুষজনদের মধ্যে৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, ”বছরভর অপেক্ষা করে থাকি বাংলাদেশের ইলিশের জন্য ৷ পুজোর আগে মাছ এল, এতে আমরা ভীষণ খুশি ৷” তবে বাজারে দাম কত হবে তা এখনও নির্ধারণ হয়নি৷
[আরও পড়ুন: মহিলা সংরক্ষণ বিলে বিজেপির বক্তা তালিকায় ব্রাত্য বাংলার সাংসদরা, ক্ষোভ বঙ্গ ব্রিগেডে]
প্রসঙ্গত ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি (Export) বন্ধ ছিল। ২০১৯ সাল থেকে ফের তা শুরু হয়। ২০২০ সালে দুর্গাপুজোর আগে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি হয়।