স্টাফ রিপোর্টার: পেট্রোল ও ডিজেলের মূ্ল্যবৃদ্ধির ফলে ইলেকট্রিক বাসের চাহিদা বাড়ছিলই। এবার শহরজুড়ে এই বাস নামানোর পথে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে গেল বাংলা। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS 2022) সমাপ্তি দিনে ইজিভি ট্রান্সপোর্ট ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত করল রাজ্য সরকার। সবমিলিয়ে বিনিয়োগ হবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। আপাতত হাজার দেড়েক ই-বাস (E-Bus) তৈরি হবে। পরে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে তিন থেকে পাঁচ হাজার। এই বাস পথে নামলে যেমন জ্বালানির সাশ্রয় হবে, তেমনই কমবে পরিবেশ দূষণ। সুবিধা পাবেন নিত্যযাত্রীরা।
ইজিভি ট্রান্সপোর্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর রবিকুমার পাঙ্গা জানান, দেড় হাজারটি ই-বাস তাঁরা তৈরি করছেন। বাসগুলি রক্ষণাবেক্ষণের কাজও হবে রাজ্যেই। ই-বাসের সংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার করাই তাঁদের লক্ষ্য বলে জানালেন সংস্থার কর্ণধার। রবিকুমারের বক্তব্য, কলকাতা বা বাংলায় এখন ইলেকট্রিক বাসের চাহিদা বাড়ছে। ই-বাস চলার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোও রয়েছে রাজ্যে। সবমিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের শিল্প তালুকে তৈরি হবে ই-বাস কারখানা।
[আরও পড়ুন: মন্দির তৈরির চাঁদা দিতে পারেনি দলিত যুবক, থুতু ছিটিয়ে নাকখত দিতে বাধ্য করল ‘সরপঞ্চ’]
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সমাপ্তির দিন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা অর্থদপ্তরের মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র (Amit Mitra) উল্লেখ করেন যে, ই-বাস সেক্টরে এত বিনিয়োগ হলে প্রায় ২৩ হাজার কর্মসংস্থান হবে। ওয়াকিবহালের মহলের একাংশের মত, রেজিনগরে শিল্পতালুকের উদ্বোধন হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাত ধরেই। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের উদ্যোগে কাজ শুরু হতে চলেছে। বস্তুত পরিবেশবান্ধব এই যানের চাহিদা বাড়ছে বিশ্বজুড়েই। বৃহস্পতিবার শিল্পপতিদের আলোচনায় উঠে আসে পরিবেশবান্ধব সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র (Solar Power Plant)। বিক্রম সোলারের জ্ঞানেশ চৌধুরী পরিবেশবান্ধব সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়তে চেয়েছেন। উল্লেখ্য, কলকাতায় এখন ৮০টি ই-বাস চলছে। আরও ৫০টি আসবে। বিভিন্ন বাস ও ট্রাম ডিপোয় হবে চার্জিং স্টেশন (Charging Station)।
[আরও পড়ুন: নাবালিকার ‘ধর্ষণে’ সহযোগিতা! গাইঘাটায় বিজেপি নেত্রী-সহ গ্রেপ্তার ৪]
প্রথম পর্যায়ের ১৫টি বাস চলতি মাসে আসবে। নিউটাউনকে (New Town) কেন্দ্র করে ই-বাস নামানোর দিকেই নজর দিচ্ছে সরকার। যেহেতু পেট্রল ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন, তাই ই-বাসের চাহিদা বাড়ছে। দ্রুত এবং দূষণবিহীন যানের ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক বাসের জুড়ি মেলা ভার। তা একবাক্যে মানছেন সকলেই।