নন্দন দত্ত, বীরভূম: সরকারি দপ্তরে পরিষেবা চাইতে গিয়ে আত্মহত্যার হুমকি শুনতে হল আবেদনকারীকে! ঘটনাটি বীরভূমের (Birbhum) রাজনগর ব্লকের ভূমি আধিকারিকের দপ্তরে। রেকর্ড সংশোধনের দাবি জানালে বিএলআরও তাঁর সরকারি চেয়ারে বসেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত আবেদনকারীর ছেলে উজ্জ্বল অধিকারী। ঘটনা জানাজানি হতেই বুধবার জেলা ভূমি দপ্তরে ডাকা হয়েছে রাজনগরের ব্লক ভূমি আধিকারিক বিদ্যুৎকুমার নন্দীকে।
বীরভূমের রাজনগর ব্লকের মুক্তিপুর গ্রামের সরস্বতী অধিকারীর একটি জমির রেকর্ড সংশোধনের কাজকে ঘিরে বিতর্ক শুরু। সরস্বতীদেবীর ছেলে উজ্জ্বল অধিকারী তার মায়ের জমির রেকর্ড করানোর জন্য বেশ কয়েকবার ভূমি দপ্তরে যোগাযোগ করেন। সেখানে সামান্য একটি কাজের জন্য তাকে ও তার মাকে নিয়মিত হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। সেই কথা জানিয়ে ও সমাধানের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী থেকে জেলা, মহকুমা ভূমি আধিকারিকের দপ্তরে চিঠি লেখেন। মহকুমা ভূমি আধিকারিক দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরস্বতীদেবীর বিষয়টি পুর্নবিবেচনার জন্য রাজনগর ব্লককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। উজ্জ্বল অধিকারীর দাবি সেই মতো তিনি মঙ্গলবার দুপুরে রাজনগরে ব্লক ভূমি আধিকারিকের দপ্তরে যান। কাজের কথা বলতেই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন বিএলআরও বিদ্যুৎকুমার নন্দী। তিনি জানান, কাজের জন্য চাপ দিলে অফিসেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করবেন। যার জন্য দায়ী থাকবেন উজ্জ্বল অধিকারী।
[আরও পড়ুন: বিরাটকে টপকে যাওয়ার পর এবার ব্র্যাডম্যানকেও ছুঁলেন কেন উইলিয়ামসন]
এই কথা শুনে উজ্জ্বলবাবু দপ্তর থেকে বেড়িয়ে চলে যান। তিনি বলেন, “ওই কথা শোনার পর থেকে খুব ভয়ে ভয়ে আছি।” ভূমি দপ্তর সূত্রে জানা যায় সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে অনেককে ডেকে শুনানি করতে হয়। যার জন্য কিছুটা সময় লাগে। কিন্তু আবেদনের পর পরই উজ্জ্বলবাবু প্রায় দিনই ভূমি দপ্তরে এসে চাপ দিতেন। তাতেই মেজাজ হারিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎবাবু। খবরটি পৌঁছয় জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের কাছে। তিনি জানান, তার জেলা পরিষদের দরজা সবসময় খোলা। অভিযোগ পেয়েই তিনি জেলা ভূমি দপ্তরকে নির্দেশ দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিদ্যুৎবাবুকে বিষয়টি নিয়ে সিউড়িতে তলব করা হয়েছে।