shono
Advertisement
SIR

১১ জনের নাম 'রাম', কমিশনের অ্যাপে বদলে হয়েছে 'নরেন্দ্র'! বীরভূমে বিভ্রান্তি, কাঠগড়ায় কমিশন

নিছক যান্ত্রিক ত্রুটি না পরিকল্পিত পদক্ষেপ, তা নিয়ে বিভ্রান্তি ভোটারদের মধ্যে।
Published By: Subhajit MandalPosted: 10:01 PM Dec 09, 2025Updated: 10:28 PM Dec 09, 2025

স্টাফ রিপোর্টার, সিউড়ি: বীরভূমে অন্তত ১১ জনের ভোটের অ্যাপে নাম 'রাম' থেকে বদলে 'নরেন্দ্র' হওয়া নিয়ে তীব্র বিতর্ক। ওই ভোটারদের দাবি, তাঁরা নিজে থেকে নাম বদল করেননি। অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচন কমিশন এই কাণ্ড করেছে। এটা নিছক যান্ত্রিক ত্রুটি না পরিকল্পিত পদক্ষেপ, তা নিয়ে বিভ্রান্তি ভোটারদের মধ্যে। বীরভূম জেলা প্রশাসনের আধিকারিক থেকে বিএলও-সকলেই দিশেহারা।

Advertisement

নাম পালটে যাওয়ার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে রাজনগরের শংকরপুরের বছর আঠাশের রাম টুডুর। পেশায় দিনমজুর রাম জানেনই না তাঁর নাম নরেন্দ্র টুডু হল কী করে, যেখানে এমনকী তিনি নিজে এনুমারেশন ফর্ম ভর্তি করেছেন রাম টুডু নামে।! ওই বুথের বিএলও নবকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা সত্যিই বিভ্রান্ত। আমাদের কাছে নির্বাচন কমিশন থেকে যে অ্যাপ দেওয়া হয়েছে তাতে নরেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু আদতে তিনি রাম। তাঁর আধার কার্ড, এলাকায় পরিচয় রাম নামেই। সেভাবেই তাঁকে চিনি।’’
পেশায় দিনমজুর, দুবরাজপুরের রাম বাউরির ছেলে রাজেন বলেন, "এখন কি বাবার নাম পালটাতে হবে? চিন্তায় আছি।’’ ওই বুথের বিএলও রূপালি সাহা মণ্ডল জানান, বিডিওকে জানাতে তিনি সব নথি নিয়ে হাজির হতে বলেছেন। আশা করছি সংশোধন হয়ে যাবে।’’

চিনপাই পশ্চিমের বাসিন্দা ৬০ বছরের রাম বাগদি দীর্ঘদিন ধরে ওই নামেই ভোট দিয়েছেন। তাঁর নামও বদলে হয়েছে নরেন্দ্র। বিএলও জয়ন্ত ঘোষাল বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে আমরাও এটা দেখে ঠিক করতে পারিনি। কারণ দীর্ঘদিন ধরে যিনি রাম, এবারের কমিশনের অ্যাপে কি করে তিনি নরেন্দ্র হলেন!’’ জেলা প্রশাসনের কাছে আপাতত রাজনগর এলাকায় 'রাম' বাদ পড়ে 'নরেন্দ্র' হওয়ার এমন আটটি এনুমারেশন ফর্ম হাতে এসেছে। দুবরাজপুরে তিনটি। সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে জালিয়াতি করাচ্ছে। ওরা ভেবেছিল ফাঁকা ময়দানে যা খুশি করে চালিয়ে যাবে। আমরা নজরদারি রাখায় ভুরিভুরি ধরা পড়ছে। তাতে রামই কর আর নরেন্দ্রই কর, বাংলায় জালিয়াতি করা যাবে না।’’

কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় অধিকারী অভিযোগপত্রে জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন, "কমিশনের হার্ড কপিতে ২০০২ সালে ছাপা অক্ষরে নাম আছে। কিন্তু অনেক নাম কমিশনের অ্যাপে ওঠেনি। আমরা এই ভুল ঠিক করতে আবেদন করেছি।’’ তবে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি বাবন দাস বলেন, ‘‘যান্ত্রিক ত্রুটি হয়ে থাকলে তা সংশোধন করা উচিত। আদতে রামই তো পুরুষোত্তম। তিনিই নরেন্দ্র। তাই হয়তো অ্যাপও ভুল করে ঠিক করেছে! আর তৃণমূল রাম নামে, নরেন্দ্র নামে ভূত দেখছে!’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বীরভূমে অন্তত ১১ জনের ভোটের অ্যাপে নাম 'রাম' থেকে বদলে 'নরেন্দ্র' হওয়া নিয়ে তীব্র বিতর্ক।
  • ওই ভোটারদের দাবি, তাঁরা নিজে থেকে নাম বদল করেননি।
  • অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচন কমিশন এই কাণ্ড করেছে।
Advertisement