দেব গোস্বামী, বোলপুর: পরকীয়া নাকি পাওয়া টাকা আনতে গিয়ে খুন কঙ্কালীতলার পঞ্চায়েত সদস্য সমীর থান্ডার? ক্রমশ জোরালো হচ্ছে রহস্য। রহস্যভেদ করতে মরিয়া পুলিশ। ধৃত ছয়জনকে জেরা করে ঘটনার শিকড়ে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সমীর থান্ডার বোলপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। শনিবার রাতে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত দেহ। এর পরই প্রকাশ্যে আসে তাঁর রঙিন জীবন। তবে পরিবারের দাবি, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নয়, পাওনা আদায়ে গিয়েই এই পরিণতি সমীরের। ঠিক কী জানিয়েছেন মৃতের ছেলে? তাঁর কথায়, "প্রতিদিনের মতো শনিবার সন্ধ্যেয় বাবা বের হয়েছিল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ ওহিউদ্দিন ওরফে মামনের সঙ্গে দেখা করতে। ভাইফোঁটার আগে পাওনা টাকা আনতেই গিয়েছিল। এর পর অনেক রাত পর্যন্ত কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। যাঁরা নৃশংসভাবে বাবাকে প্রাণে মেরেছে তারা সকলেই তৃণমূলের কর্মী। আমরা চাইছি ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের কঠোরতম শাস্তি এবং ফাঁসি।" অন্যদিকে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ ওহিউদ্দিন পালটা জানান, "যেদিন ঘটনাটি ঘটে সেদিন দলীয় কার্যালয় ও পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ ছিল। আমি ডেকেছিলাম অথবা আমার কাছে টাকা পেত এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অভিযোগপত্রে কিন্তু এই ধরনের কোনও বিষয় নেই। বিভ্রান্ত করার জন্যই এইসব চক্রান্ত। তদন্তকারীরা তদন্ত করলেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে।"
উল্লেখ্য, কংক্রিটের একতলা ঘরে বসবাস করতেন সমীর। ঘুরতেন ভাঙা সাইকেল নিয়ে। তবে উত্তর নারায়ণপুরের ক্যানেল পাড় ও বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে জমি কেনাবেচায় যুক্ত ছিলেন তিনি। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন অনুমতি-সহ বহু কাজ বিপুল টাকার বিনিময়ে সহজেই করিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ। ফলত মৃত্যুর পিছনে ঠিক কোন রহস্য, তা ভাবাচ্ছে পুলিশকেও। প্রসঙ্গত, মোট ৩ তিন রয়েছে সমীর থান্ডারের। এছাড়াও একাধিক পরকীয়া সম্পর্কও তাঁর ছিল বলে অভিযোগ।