রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: সমবায় ভোটে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। রবিবার সকালে এই ঘটনাকে ঘিরে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে তুমুল উত্তেজনা। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের কাছে পথ অবরোধ বিজেপির।
বিজেপি মণ্ডল সভাপতি সত্যেন পঞ্চাধ্যায়ীর দাবি, ভোটের শুরুর দিকে সব ঠিকঠাকই ছিল। রামনগর কলেজের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। আচমকাই তৃণমূল নেতা গৌতম জানার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সেখানে পৌঁছয়। অভিযোগ, বিজেপি নেতাকে চড় মারে তারা। মারধরের ফলে চোখে থাকা চশমা ছিটকে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। রামনগর ২ নম্বর ব্লকের দেপালে পথ অবরোধ করে গেরুয়া শিবির। যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে শাসক শিবির।
সমবায় ভোটকে কেন্দ্র করে কোলাঘাটেও তুমুল অশান্তি। সেখানে প্রগতিশীল মোর্চার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রগতিশীল মোর্চার ক্যাম্প অফিসের টেবিল, চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। ভোটার তালিকাও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এছাড়াও তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হেঁড়িয়াও। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ভোটকেন্দ্রের ২০০ মিটার দূরে সরিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, পূর্ব ভারতের অন্যতম বড় সমবায় ব্যাঙ্ক এটি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় রবিবার সকাল ৯টা থেকে কাঁথিতে চলছে ভোটাভুটি। ১০৮টি আসনের প্রতিনিধি নির্বাচনে চলছে ভোটাভুটি। তৃণমূল, বিজেপি ও অন্য রাজনৈতিক দলের সমর্থনে মোট ৩৮১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ৮০ হাজার ৪৮০ জন। কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে নজিরবিহীনভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বাংলায় এর আগে কোনও সমবায় সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে দেখা যায়নি। তবে তারপরেও অশান্তি রোখা গেল না।