দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: চলতি মাসে কামারকুন্ডু রেল ব্রিজের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ ও রেল আধিকারিকদের আমন্ত্রণ না জানানোয় শুক্রবার বিজেপির পক্ষ থেকে পালটা কামারকুন্ডুতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সভার আয়োজনের পাশাপাশি দিল্লি থেকে ভারচুয়ালি ফের এই ব্রিজের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী আগেই এই ব্রিজের উদ্বোধন করেছিলেন, তাই এদিন পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা সন্তোষী মাতার মন্দিরে পুজো দিয়ে পুজোর জল নিয়ে এসে ব্রিজ শুদ্ধিকরণ করা হয়।
ব্রিজ শুদ্ধিকরণের পর কামারকুন্ডুতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সভায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বলেন, সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এই সরকারকে উপড়ে ফেলার দায়িত্ব পার্টি তাঁকে দিয়েছে। রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, এক সময় সিপিএমকে ফেলেছেন। তাই এই সরকারকে ফেলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী দিনে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। এদিকে অবরোধের জেরে হাওড়া ও কলকাতা বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে অনেক বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে সভাস্থলে আসতে হয়েছে বলে ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। বলেন, “এভাবে আমাদের বিজেপিকে আটকানো যাবে না।”
[আরও পড়ুন: বিক্ষোভের জেরে হাওড়ায় বন্ধ হল ইন্টারনেট পরিষেবা, বাতিল একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন]
ক্ষুব্ধ শুভেন্দুর কথায়, আজ গোটা হাওড়া, কলকাতা বিচ্ছিন্ন। প্রতিবাদের নামে আজ বিশৃঙ্খলা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কেন আধা সামরিক ও সামরিক বাহিনী নামানো হল না বলে প্রশ্নও তোলেন শুভেন্দু। পাশাপাশি তিনি সভায় আগত কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহর মতো লোকেরা কাশ্মীরকে ঠান্ডা করে দিয়েছেন। আমরা পশ্চিমবঙ্গকে সোজা করব।” তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে গিয়ে কাজের হিসেব চান।
অন্যদিকে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সবাই একসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলুন। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৫-এর বেশি আসন নিয়ে এই রাজ্যে ফিরে আসবে। আমরা চাই আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসুক।”