অর্ণব দাস, বারাকপুর: খড়দহে কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে বাধার মুখে বিজেপি (BJP) নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। তাঁকে দেখানো হল কালো পতাকা, উঠল ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও। তাঁর হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হল মালাও। গোটা ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা। অশান্তির জেরে তিনি কর্মসূচি পালন না করেই ফিরে যান। ঘটনা ঘিরে মঙ্গলবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে উঠল খড়দহ (Khardah)।
মঙ্গলবার খড়দহে শ্যামসুন্দর ফেরিঘাটে রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath Tagore) মূর্তিতে মাল্যদান করতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু। সেখানেই বাধার মুখে পড়েন তিনি। কবির মূর্তিতে মালা দিতে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। একদল বাসিন্দা সায়ন্তনকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান। ক্ষোভ উগরে দেন তাঁর বিরুদ্ধে। সায়ন্তনও অবশ্য সকলের সঙ্গে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর কথা কেউ শুনতেই নারাজ। তাঁর হাত থেকে মালা কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁর সামনেই রীতিমতো চিৎকার করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন আশেপাশের মানুষজন। এতটা বিক্ষোভের মুখে পড়ে সায়ন্তন বসু রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মালা না দিয়েই ফিরে যান।
[আরও পড়ুন: সপ্তাহের মাঝে বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ, নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা]
এই ঘটনায় তিনি খড়দহের তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ, তাঁর কর্মসূচিতে বাধা দিতেই তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সায়ন্তন বসুর আরও অভিযোগ, এই মুহূর্তে রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে বিরোধীরা সামান্য কবিপ্রণাম কর্মসূচিও করতে পারছে না। যদিও ঘটনা নিয়ে খড়দহের তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ঘটনা ঘিরে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ চড়েছে। যদিও সায়ন্তন ফিরে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত। আগেও বেশ কয়েকবার দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন সায়ন্তন। তবে তার বেশিরভাগটাই ছিল রাজনৈতিক। এদিন রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মালা দিতে গিয়ে এই বিক্ষোভ প্রত্যাশিত নয় বলেই মনে করছেন তিনি।