শেখর চন্দ্র, আসানসোল: আসানসোলে দুই ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে চরমে বিভ্রান্তি। সোমবার সকালে রাজেশ তুরী ও বিনোদ ভুঁইঞা নামে ২ জনের দেহ উদ্ধার হয় রানিগঞ্জের (Raniganj) আমরাসোতা এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে খোলা মুখ খনিতে পড়ে গিয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পুলিশের দাবি, খনি থেকে নয়। তাঁদের বাড়ি থেকেই মৃতদেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে। তাই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মৃতদের বাড়িতে যান আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul)। দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে একরকম বয়ান দেন তিনি। আবার পুলিশের কাছে নালিশ জানাতে গিয়ে সেখানে ভিন্ন কথা বলেন। তাঁর দুরকম বক্তব্যে বিভ্রান্তি চরমে। এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
সোমবার সকালে রানিগঞ্জের আমরাসোতায় দুই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। পরিবারে লোকজনের দাবি, সোমবার তাঁরা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দুর্ঘটনা শিকার হয়েছেন। শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণের (Asansol Dakshin) বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল রানিগঞ্জের আমরাসোতায় যান। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, ”ওরা রাতে কয়লা আনতে গিয়ে চাপা পড়ে মারা গিয়েছে। পরিবারের লোক ভয়ে মুখে কোনও কথা বলছে না। ক্ষতিপূরণের দাবিতে ইসিএলের (ECL) উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।”
[আরও পডুন: ‘তুমি যা জিনিস গুরু’, পুনম কাণ্ডে মারাত্মক টিপ্পনি শিলাজিতের! কী বললেন গায়ক?]
আমরাসোতা থেকে বেরিয়ে অগ্নিমিত্রা পল সেখান থেকে বেরিয়ে বাঁশরায় এরিয়া এজেন্ট অফিসে যান। সেখানে আগে থেকেই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি (INTTUC) এবং সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু পতাকা নিয়ে হাজির ছিল ক্ষতিপূরণের দাবিতে। অগ্নিমিত্রাকে দেখে তাঁরা ‘মোদি হঠাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার অনিল সিংয়ের সঙ্গে কথা বলতে যান। জিএম পালটা প্রশ্ন করেন, কেন বহিরাগতরা ইসিএলের খনিতে ঢুকবে? এর পর পুলিশও জানায়, খনিতে নয়, ওই দুজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বাড়ি থেকে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর অগ্নিমিত্রা নিজের বয়ান পালটে ফেলেন। জানান, দুই শ্রমিকের মৃত্যু খনিতে হয়নি। তা সত্ত্বেও খোলা মুখ খনিগুলির নিরাপত্তা আরও বাড়ানো দরকার।
দেখুন ভিডিও: