দেবব্রত দাস, খাতড়া: সদ্যই গড়ে উঠেছিল পার্টি অফিস। এখনও জানলা-দরজা তৈরি হয়নি সেভাবে। বাঁকুড়ার (Bankura) জয়পুরের হেতিয়া অঞ্চলে তৃণমূলের (TMC) সেই নবনির্মিত কার্যালয় ঘিরেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ছড়াল আতঙ্ক। সকালে সেখানে দেখা গেল, চাপ চাপ রক্ত (Blood)। কী ঘটেছে ওই পার্টি অফিসে? তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের বক্তব্য, কোথা থেকে এত রক্ত এল, কী ঘটেছে, কিছুই তারা বুঝতে পারছে না। জানলা-দরজা না থাকায় বাইরে থেকে কেউ বা কারা ঢুকে দুষ্কর্ম করেছে বলে মনে করছে তারা। আর বিজেপির (BJP) দাবি, রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ। তৃণমূলের মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। মারধর চলছে। পার্টি অফিসে এত রক্ত কীসের, তা যথাযথ তদন্ত করে দেখুক পুলিশ।
সবে নতুন ভবনটি তৈরি হয়েছে। অ্যাসবেস্টাসের ছাদ, মাটির ঘর। এখনও জানলা-দরজা নেই। বাকি বেশ কিছু কাজ। জয়পুরের (Jaipur)হেতিয়া অঞ্চলের তৃণমূলের কাজকর্ম ভালভাবে চালানোর জন্য এই পার্টি অফিসটি তৈরি করা হয়েছে। তবে কার্যালয়টি শুরুর আগেই লাগল রক্তের দাগ! বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, পার্টি অফিসের মেঝে, দেওয়ালে চাপ চাপ রক্ত, জুতোর দাগ। তবে কারও মৃতদেহ এখান থেকে পাওয়া যায়নি বা জখম অবস্থাতেও কাউকে উদ্ধার করা হয়নি। তাহলে এই রক্ত কার? এই প্রশ্ন তুলে গুঞ্জন শুরু হয় এলাকায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জয়পুর থানার পুলিশ। ওসি রামনারায়ণ পাল নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় ল্যাবে। পুলিশের অনুমান, নমুনা পরীক্ষাতেই বোঝা যাবে ঠিক কী ঘটেছে।
[আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা: দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য? লুকআউট নোটিস দিল CBI]
নতুন কার্যালয়ে এমন রোমহর্ষক ঘটনায় সাবধানী তৃণমূল নেতৃত্ব। জয়পুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কৌশিক বটব্যাল বলেন, ”আমাদের নতুন পার্টি অফিসে এখনও দরজা, জানলা নেই। যে কেউ ঢুকে পড়তে পারে। কেউ যদি দুষ্কর্ম করার জন্য এই পার্টি অফিসটিকে ব্যবহার করে থাকে, তাহলে কিছু করার নেই। হয়ত কেউ হত্যার পর এখান দিয়ে দেহ নিয়ে গিয়েছে। অথবা কোনও হিংস্র পশু শিকার করে এই পথে গিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।” এই এলাকা কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহারের প্রতিক্রিয়া, ”এখন তো গোটা রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব, নিজেরা নিজেদের মধ্যে মারপিট চলছে। যে জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে অনেক জায়গায় বিরোধীদের মারধর করেছে তৃণমূল। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখুক।”