রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: কেউ হয়ত এখনও পুজোর বোনাস পাননি, কারোর আবার কারখানা লকআউট। পুজোর আগে হাতে আর মাত্র ১৩ দিন। কিন্তু ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নতুন জামা কিনে দিতে পারবেন কি না জানা নেই অভিভাবকদের। তাই কচিকাচাদের মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্ব নিলেন তাঁদের প্রিয় শিক্ষকরাই। প্রাথমিক স্কুলে পড়তে এসেই পূর্বস্থলীর ছাত্রছাত্রীদের মিলল পুজোর জামা।
[ ক্যানসার জয়ের সাহস দেখিয়ে বিশ্বমঞ্চে পুরস্কৃত বাংলার মেয়ে]
সোমবার পূর্ব বর্ধমানে পূর্বস্হলীর কাজী নজরুল ইসলাম প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুঠুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুরাগাছা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ছ’টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৪০০ জন পড়ুয়াদের হাতে পুজোর জামা তুলে দেন শিক্ষকরাই। প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ করে এই পোষাকের ব্যবস্থা করা হয়। চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্র জয়সূর্য হাজরা হাসি মুখে বলে, “আগের পুজোতে কোনও পোশাক পাইনি। এবারও বাবা মা দিতে পারবে না বলেছিল। কিন্তু মাস্টারমশাইরা সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন।” প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বান্টি দাস ও সুমিতা কররা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে পুজোর সময়ে আমাদের বাড়ির বাচ্চাদের মতো ছাত্রছাত্রীরাও যেন আনন্দে থাকে এটাই চেয়ে ছিলাম।” তবে শুধু শিক্ষকরাই নন, পুজোর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের জামা দেওয়া আয়োজনে সহযোগিতা করেছে রিষড়া বসন্তোৎসব কমিটির।
ছবি: মোহন সাহা
[ অবহেলায় দিন গুনছে সোদপুরে গান্ধীজির ‘দ্বিতীয় আবাস’]
