সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বণিক সংগঠনের সম্মলনে কেন্দ্রীয় সরকারের নোটবন্দি ও জিএসটি চালুর কড়া সমালোচনা করা হল। কেন্দ্রের মোদি সরকার যেভাবে ও যে পদ্ধতিতে নোটবন্দি করেছিল তাতে ব্যবসার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করে কয়েকজন বক্তা। পাশাপাশি, জিএসটি চালু করেও সমস্যায় ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
[আরও পড়ুন: ভোটপ্রচারের মঞ্চে গান শোনালেন নুসরত, দেখুন ভিডিও]
বৃহস্পতিবার বর্ধমানের টাউন হলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ধান্য ব্যবসায়ী সমিতির পঞ্চম বর্ধমান জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাইস মিল মালিক সংগঠনের রাজ্যের কার্যকরী সভাপতি আবদুল মালেক, জেলা সম্পাদক সুব্রত মণ্ডল, ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহবুবু মণ্ডল প্রমুখ ছিলেন। ধান্য ব্যবসায়ী সমিতির বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি কেন্দ্রের নোটবন্দি ও জিএসটি চালুর ফলে ব্যবসায়ীদের যে সমস্যা হয়েছে সেই প্রসঙ্গও ওঠে। রাইস মিল সংগঠনের রাজ্যের কার্যকরী সভাপতি আবদুল মালেক বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার অনৈতিকভাবে নোটবন্দি করেছিলেন। তার জন্য আমাদের ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আবার জিএসটি চালু করায় সব জিনিসের দাম বেড়ে গেল। আগে এমন অনেক কিছুতে কর লাগত না। এখন জিএসটি দিতে হচ্ছে।” সংগঠনগুলির সদস্যদের সতর্ক করে তিনি জানান, আগামিদিন আরও কঠিন পরিস্থিতি আসছে ব্যবসায়ীদের জন্য। সরকার যেভাবে চলছে তাতে আরও কঠিন আবর্তে পড়তে হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন মালেক। পাশাপাশি, ধান ব্যবসায়ী, রাইস মিল মালিক ও চালের ব্যবসায়ীদের সাদা-কালো (খাতায় কলমে নথি রেখে) ব্যবসা করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বেশ কয়েক বছর পর লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন অভিনেত্রী মিমি]
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ধান্য ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সম্পাদক বিশ্বজিৎ মল্লিক জানান, তাঁদের মতে ব্যবসায়ীদের ফড়ে তকমা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “ফড়ে নয়, আমাদের সরকারি স্বীকৃতি দিতে হবে। প্রকৃত ফড়ে বা দালাল যারা তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। ধানের সহায়ক মূল্য ২০০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল করতে হবে। আমরা এইসব দাবি রাখছি সরকারের কাছে।” পাশাপাশি, ধান কেনার সরকারি প্রক্রিয়াতেও তাঁদের যুক্ত করার দাবি রেখেছেন তাঁরা। সংগঠনের দাবি, রাজ্যে ২ কোটি ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়। তার মধ্যে রাজ্য সরকার ও ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া ধান কেনে ৫২ লক্ষ মেট্রিক টন। বাকি ধান খোলাবাজারে বেচাকেনা হয়। ফলে চাষিকে রাইস মিলে ধান বিক্রি করতে হলে ধান্য ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেই করতে হয়।
The post জিএসটি-নোটবন্দি ব্যবসার ক্ষতি করেছে, কেন্দ্রকে তোপ বণিক সংগঠনগুলির appeared first on Sangbad Pratidin.
