শুভঙ্কর বসু: পুজোর পর ফের রাজ্যে ভোট। ৪ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের (By-election) দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ অক্টোবর শান্তিপুর, খড়দহ, গোসাবা ও দিনহাটা – এই চার আসনে উপনির্বাচন হতে চলেছে। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ মোট তিন রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ২ নভেম্বর ফল ঘোষণা হবে সবক’টি কেন্দ্রের।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর-সহ রাজ্যের আরও দুটি কেন্দ্রের ভোট। ৩ অক্টোবর ফলপ্রকাশ। তারপর পুজোর মরশুম। তা কাটতে না কাটতেই ফের নির্বাচনী আবহ রাজ্যে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবক’টি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ায় খুশি রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সব রাজনৈতিক দলই।
মঙ্গলবারই দেশের আরও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি (notice) জারি করেছে কেন্দ্র। তার মধ্যে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল – দাদরা-নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একই দিনে উপনির্বাচন হবে মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচল প্রদেশের কেন্দ্রগুলিতেও। এ রাজ্যের যে ৫ টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, তার মধ্যে ভবানীপুরে ভোট হচ্ছে এই বৃহস্পতিবার। বাকি চারটিতে ভোট ঠিক এক মাস পর – ৩০ অক্টোবর। ভোটগণনা এবং ফলাফল ঘোষণা হবে ২ নভেম্বর।
[আরও পড়ুন: ‘গুলাব’ কাঁটা সরলেও চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, ঝড়বৃষ্টিতে দুর্যোগের আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গে]
নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী ৮ অক্টোবর। ১১ তারিখ স্ক্রুটিনি, ১৩ তারিখ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ৩০ অক্টোবর ভোট। এই চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন কোভিডবিধি মেনে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্বাবধানের হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
খড়দহের (Khardah) ভোটের পর, ফলপ্রকাশের আগেই সেখানকার তৃণমূল বিধায়ক কাজল সিনহার মৃত্যু হয়েছিল কোভিডে। তিনি ওই কেন্দ্র থেকে জিতলেও নতুন জনপ্রতিনিধি খুঁজতে উপনির্বাচন প্রয়োজন ছিল। এখন এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়বেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গোসাবার (Gosaba) তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করেরও মৃত্যু হয় নতুন সরকার গঠনের কয়েকদিন পর। তাই সেখানে উপনির্বাচন। আর দিনহাটা (Dinhata) ও শান্তিপুর (Santipur) – দুই কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার সাংসদ। তাঁরা সেই পদ ছেড়ে বিধায়ক হিসেবে শপথ নেননি। তাই ওই দুই কেন্দ্রেও উপনির্বাচনের পথে হাঁটতে হয়েছে কমিশনকে।
[আরও পড়ুন: ভরসন্ধেয় রায়গঞ্জে চলল গুলি, মৃত্যু মহিলার, আহত ২]
ভবানীপুর ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত উপনির্বাচনের জন্য একাধিকবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে আবেদন জানিয়েছিল শাসকদল তৃণমূল। সেই আবেদন মেনে ৩০ অক্টোবর দিন ঘোষণা করায় স্বস্তি সব শিবিরেই।