অর্ণব আইচ: বগটুই কাণ্ডে (Bagtui Case) জারি ধরপাকড়। আরও একজনকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে বুলু শেখ ওরফে ডলার। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল সে। তদন্তকারীদের দাবি, বগটুই গ্রামে বাড়ি পোড়ানোর জন্য পেট্রল পাম্প থেকে পেট্রল কিনেছিল বুলু।
সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনার রাতে বুলু এক সঙ্গীকে নিয়ে স্থানীয় পেট্রল পাম্পে যায়। সেখান থেকে পেট্রল কিনে আনে। আর ওই পেট্রল বগটুইতে ছড়ানো হয়। তারপর তাতে অগ্নি সংযোগ করা হয়। বগটুই কাণ্ডের পরই গা ঢাকা দেয় ডলার। সিবিআই তার সন্ধানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও ভিনরাজ্যেও তল্লাশি চালায়। নাম ভাঁড়িয়ে ও ভোল পালটে গা ঢাকা দেয় সে। কিন্তু হাতের টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে। কয়েকজন পরিচিতর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ রাখতে শুরু করে। সেই সূত্র ধরেই সিবিআই আধিকারিকরা ডলারের সন্ধান পান। ঘটনার ৬ মাস পর বুধবার রাতে ডলারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়। ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের ‘কপালে গুলি’ মন্তব্য: সুকান্তর অভিযোগের সারবত্তা নেই, আদালতে রিপোর্ট পুলিশের]
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ রাতের দিকে বীরভূমের রামপুরহাটের (Rampurhat) পূর্বপাড়ার কাছে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় মৃত্যু হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের। তারপরই রাতে বগটুই গ্রামে আগুন জ্বলে ওঠে। পুড়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। রাজ্য পুলিশের হাতে ১১ জন গ্রেপ্তার হয়। অভিযোগ, ভাদু শেখের খুনের বদলা নিতে নিরীহ গ্রামবাসীদের ঘরদোর জ্বালিয়েছে ভাদু শেখের ঘনিষ্ঠরা। রাজ্য রাজনীতিতে এই ঘটনা তোলপাড় ফেলেছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে রামপুরহাটে গিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। সেখানে দাঁড়িয়েই স্থানীয় ব্লক সভাপতি আনারুল শেখকে সাসপেন্ড করেন তিনি। সর্বহারা পরিবারগুলোর জন্য সরকারি চাকরি, আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছিলেন।
এরপর এই মামলা কলকাতা হাই কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে আবেদন জানান আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। সিবিআই তদন্তে সায় ছিল না রাজ্য সরকারের। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, রাজ্য পুলিশই এই মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে যথাযথ গতিতে। তবে শেষমেশ এই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই।