নন্দন দত্ত, সিউড়ি: স্বজনহারা মিহিলাল ও শেখলাল শেখকে মুখোমুখি বসিয়ে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। সাসপেন্ড হওয়াআইসি ত্রিদিব প্রামাণিককে রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে এনে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা। পাশাপাশি ২১ মার্চের পরের রামপুরহাট থানা ও হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অন্যদিকে, গণহত্যার আটদিন পরে মঙ্গলবার বগটুই গ্রামে (Bogtui Village) ফিরলেন অগ্নিদগ্ধ বুলবুলি খাতুন ও ইরফান শেখ।
মিহিলালের ঘর পুড়েছে। স্ত্রী গণহত্যার শিকার। দাবি করেছেন, ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকে খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে তিনি সব দেখেছেন। তাই সোমবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মঙ্গলবার রামপুরহাটের (Rampurhat Clash) পান্থশ্রী অস্থায়ী সিবিআই শিবিরে মিহিলালের বয়ান রেকর্ড করা হয়। ঘন্টা দেড়েক পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে বগটুই থেকে কিছু দূরে কুমাড্ডা গ্রামে সাজেনা খাতুনের বাড়িতে মিহিলালকে নিয়ে গিয়ে শেখলালের মুখোমুখি বসান হয়। উল্লেখ্য, সোমবার সাত দিন লড়াই চালানোর পরে শেখলালের স্ত্রী নাজেমা বিবি মারা যান। তারপর থেকেই কুমাড্ডা গ্রামে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখলাল। সিবিআইয়ের দল সেই বাড়িতে দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়।
[আরও পড়ুন: চলন্ত বাসে তরুণীর গোপনাঙ্গে হাত! নিউটাউনের ঘটনায় গ্রেপ্তার বিহারের যুবক]
বেশ কিছুক্ষণ সেখানে থাকার পরে শেখলাল ও মিহিলালকে নিয়ে সিবিআই ফের রামপুরহাটে ফেরে। এদিন শেখলাল তার হেফাজতে থাকা সেই রাতের মোবাইলের কিছু ছবি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। শেখলাল আগেই অভিযোগ করেছিল,” ওই ছবিতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে দেখছে। আর আমার ঘর পুড়ছে।” এদিন শেখলাল আরও জানান, সেদিন গ্রামে যখন মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন, তিনি কথা বলতে পারেননি। সব কথা এখন সিবিআইকে (CBI) বলবেন তিনি।
সাসপেন্ড হওয়া আইসি ত্রিদিব প্রামাণিককেও পান্থশ্রীতে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ চলে এদিন। ভাদু শেখের মৃত্যুর পর কারা কারা থানায় এসেছিল তার ফুটেজ সংগ্রহ করে। কারণ, ধৃত আনারুল জানিয়েছিল ভাদুর মৃত্যুর পরে সে হাসপাতালে যায়। সেখান থেকে যায় থানায়। অন্যদিকে থানা থেকে পুলিশকে আসতে আনারুল বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তাই ফুটেজ যাচাই করে দেখতে চায়, আনারুল ছাড়াও অন্য কোনও প্রভাবশালী হাসপাতালে ছিল কি না।