বাবুল হক, মালদহ: আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এরই মাঝে শুক্রবার মালদহে পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তালিকায় নাম রয়েছে এমন দু’জনের ঠিকানায় খোঁজ নিয়ে দেখলেন, রীতিমতো পাকা বাড়ি তাঁদের। যদিও বাড়ির আবেদন বহু আগের বলেই দাবি তাঁদের।
শুক্রবার সকালে মালদহের সীমান্তবর্তী এলাকায় যায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ছিলেন, ডেপুটি সেক্রেটারি পদমর্যাদার আধিকারিক শক্তিকান্ত সিং, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার মিস চাহাত সিং এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেকশন অফিসার গৌরব আহুজা। আবাস যোজনার প্রাপকদের তালিকায় নাম ছিল বাঙ্গিটোলা গ্রামপঞ্চায়েতের গোঁসাইহাটের সাদ্দাম হোসেন ও মোথাবাড়ির জরিপ শেখ নামে দু’জনের। এদিন তাঁদের ঠিকানায় যায় প্রতিনিধি দল। দেখা যায়, সাদ্দাম হোসেনের বেশ বড়সড় পাকা বাড়ি। পঞ্চায়েত কর্মী সাদ্দামের এহেন বাড়ি থাকা সত্ত্বেও কেন আবাস যোজনার প্রাপকের তালিকায় নাম? সাদ্দামের দাবি, বহু বছর আগে আবেদন করা হয়েছিল বাড়ির জন্য। পরবর্তীতে আর্থিক উন্নতি হওয়ায় বাড়ি তৈরি করেছেন। এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে সাদ্দামের নাম।
[আরও পড়ুন: বিজেপিকে সমর্থন করলে BDO, আইসিকে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি! বিতর্কে বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা]
এদিকে মোথাবাড়ির বাসিন্দা কাঠ ব্যবসায়ী জরিপ শেখেরও দোতলা বাড়ি। কিন্তু নাম আবাস যোজনার তালিকায়। জরিপের দাবি, ৭ বছর আগে আবেদন করেছিলেন। তারপর ঋণ নিয়ে বাড়ি করেছেন। ৩ মাস আগে দোতলা করেছেন। ফলত দুর্নীতি করেননি বলেই দাবি তাঁর। দিকে দিকে আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে দুর্নীতির প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “চার থেকে সাড় চার বছরের পুরনো আবেদন৷ ফলে একে একবাক্যে দুর্নীতি বলা ঠিক নয়। অন্যায় কেউ করলে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে৷”